চলছে আদর্শের জন্য লড়াই! অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আর কোন বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর
চলছে আদর্শের জন্য লড়াই! আর অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আর কোন বার্তা শুভেন্দু অধিকারীর
ফের অরাজনৈতিক কর্মসূচি শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari)। একটি নয়, তিনটি। সবকটিতেই প্রবল জনসমাগম। সব জায়গাতেই ভিড় থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষা করতে দেংখা গিয়েছে দাদার অনুগামীদের। তবে তিনি এদিন সরাসরি কোনও রাজনৈতিক বার্তা না দিলেও, তিনি এদিন যা বলেছেন, তাঁর অর্থ বুঝতে অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে না।
শুভেন্দু অধিকারীকে রিপ্লাই দিয়েছেন সৌগত রায়
মঙ্গলবার রাতে সৌগত রায় বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। কিন্তু রাত গড়িয়ে দুপুর হতেই ছন্দপতন। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন না, ক্ষমা করবেন। যেভাবে বৈঠকের কথা প্রেসকে জানানো হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন কীভাবে সমস্যার সমাধানের আগেই বলা হচ্ছে বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। এর উত্তরে সৌগত রায় বুধবারই জানিয়েছিলেন, মত পরিবর্তন করতে তিনি কিছু করতে পারবেন না। পরের কথা শুভেন্দুই বলবেন। এদিন সৌগত রায় বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে কালই তিনি রিপ্লাই দিয়েছেন। তিনি (শুভেন্দু) কোথায় তা তিনি বলতে পারবেন না। শুভেন্দুর ব্যাপারে তিনি আর কোনও কথা বলবেন না বলেও জানান।
তমলুকে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন উদযাপনে শুভেন্দু
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল তমলুকে ক্ষুদিরাম বসুর ১৩১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন। তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দিয়ে তিনি হেঁটে যান তাঁর স্মৃতি বিজড়িত হ্যামিল্টন স্কুল পর্যন্ত। এরপরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান। পাশাপাশি বন্দেমাতরমকে তিনি সঞ্জীবনী মন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গড়বেতাতেও ক্ষুদিরামের জন্মদিবস পালন
তমলুক থেকে গড়বেতায় যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তিনি ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস পালন কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে ভবিষ্যতের জন্য সমর্থন চান। স্বামীজির মন্ত্র চরৈবেতি, চরৈবেতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, পান্তা খাওয়া, মুড়ি খাওয়া, গামছা পরা ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে, লড়বে। তবে তার জন্য সবার আশীর্বাদ এবং দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
কমফোর্ট জোনে রাজনীতি করেন না তিনি
এখানেই তিনি উল্লেখ করেন, কোনও কোনও সংবাদ মাধ্যম উল্লেখ করেছে তিনি কমফোর্ট জোনে রাজনীতি করেন। এর উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১১ সালের আগে তিনিই সব থেকে বেশি গড়বেতায় আসতেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এখন গ্রামের ছেলেটা রাস্তায় বেরনোয় ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকা কারও কারও অসুবিধা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্যের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝাতে চেয়েছেন।
ব্রিজ ভেঙে তিনজনের মৃত্যুতে শাস্তির দাবি! মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্বোধনের দিনে মমতাকে নিশানা কৈলাশের