শুভেন্দু অধিকারীর নামের পাশে নানা বিশেষণ! জল্পনার পারদ চড়ছে ২০২১-এর আগে
শুভেন্দু অধিকারী এখন বহু নামে বিভূষিত! ২০২১-এর আগে জল্পনার পারদ বাড়ছে
তৃণমূল কংগ্রসে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব বৃদ্ধিতে জল্পনা ক্রমেই বাড়ছে। শুধু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীকে এমনই সব নামে আখ্যায়িত করা হচ্ছে যাতে জল্পনার পারদ আরও চড়ছে। তবে কি সত্যিই তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রসদ পাচ্ছে বিজেপি।
গরহাজিরার পাশাপাশি পোস্টার-ব্যানার নিয়েও জল্পনা
হুল দিবস থেকে শুরু করে নেতাই দিবস। হালে স্বাধীনতা দিবসে পৃথকভাবে কর্মসূচি নিতে দেখা গিয়েছে। অনুগামীরাও যে পোস্টার-ব্যানার সামনে এনেছে, তাতে ধন্দ তৈরি হয়েছে শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়ে। শুভেন্দুকে নিয়ে এই মুহূর্তে বিব্রত তৃণমূল। এখন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারেন ফে্র সমস্ত ব্যবধান মুছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে।
শুভেন্দুর দূরত্ব তৈরি, মূল স্রোতে ফেরানোর দাবি
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, শুভেন্দুকে দরকার আসন্ন ২০২১ নির্বাচনে। তাই সমস্ত জটিলতা দূর করে শুভেন্দুকে ফের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে এর ফায়দা তুলবে বিজেপি। শুভেন্দুকে নিয়ে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে, অবিলম্বে তা রুখতে না পারলে ২০২১-এ লড়াই থেকে দূরে সরে যাবে তৃণমূল। বেশ কিছু এলাকায় পাল্লাভারী হবে বিজেপির।
বহু নামে বিভূষিত হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
সম্প্রতি বেশ কিছু হোর্ডিং সামনে এসেছে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর আগে ব্যবহার করা হয়েছে নানা বিশেষণ। কিন্তু সেখানে সেই তৃণমূল শব্দটি। কোথাও তাঁকে বিশেষিত করা হয়েছে ‘বাংলার মুক্তি সূর্য', কোথাও ‘সংগ্রামের অপর নাম', আবার ‘উন্নয়নের কাণ্ডারি', ‘জনগণমন নায়ক', ‘আমাদের আদর্শ', ‘দীনজনের ত্রাতা', ‘মানবিকতার অপর নাম'- এমন বহু নামে।
তৃণমূলকে সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে শুভেন্দুর ব্যানার
শুভেন্দুর মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং সুদক্ষ সংগঠকের নিষ্ক্রিয় থাকা কিন্তু তৃণমূলের পক্ষে ক্ষতিসাধনই করছে। তিনি শুধু দল নয় পরিবহণ ও সেচ দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রকের দায়িত্বে। সব দিক দিয়েই তাঁর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবু তাঁর এই দূরে দূরে থাকা, পৃথক পোস্টারে বহু নামে বিভূষিত হওয়া তৃণমূলকে সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে ২০২১ নির্বাচনের আগে।
মমতার বার্তাতেও সেনাপতির মুখভার তৃণমূলে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সংগঠন সাজিয়েছেন নতুন করে। একাধিক জেলার কর্তৃত্ব শুভেন্দুর হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি কোনও বিশেষ বার্তা দেননি, তাঁর দলের সবথেকে নির্ভরযোগ্য সেনাপতিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে স্রেফ এটুকু বার্তা দিয়েছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতর রয়েছে তোমার হাতে। মন্ত্রিত্বের কাজে মন দাও। সামনেই বড় লড়াই। যিনি একা কাঁধে চার-পাঁচটি জেলা সামলেছেন। মুর্শিদাবাদের মতো জায়গায় তিনি ঘাসফুল ফুটিয়েছেন। তারপরও দলে সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন না তিনি।
তৃণমূলে যোগ্যতামতো গুরুত্ব পাচ্ছেন না শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা মনে করেন, তৃণমূল কংগ্রেসে শুভেন্দু অধিকারীর আরও বড় পদ পাওয়া উচিত। ছিল। দলে রাজ্য সভাপতি হওয়ার যোগ্য তৃণমূল কংগ্রেস। তা হলে দলে আরও জোয়ার আসত। বিজেপি হালে পানি পেত না। শুভেন্দুকে দূরে সরিয়ে রেখে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে বলে তাঁদের ধারণা।
মমতার বিশ্বস্ত সেনাপতি থাকছেন দূরে দূরে! একুশের অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি