যেখানে শুরু সেখানেই শেষ করবেন শুভেন্দু অধিকারী! অতীতের কথায় কী বার্তা দিলেন তৃণমূলকে
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনার পারদ চড়তে থাকে প্রতিনিয়ত। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলছেন। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে নিজের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন শুভেন্দু। বললেন, অতীত ভুললে চলবে না।

রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনার মাঝে শুভেন্দুর বার্তা
শুভেন্দুর সাফ কথা, অতীত ভুলে গেলে ভবিষ্যৎ কখনও উজ্জ্বল হতে পারে না। তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবেই। এটাই চিরন্তন সত্য। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনার মধ্যেই শুভেন্দু এক কথায় অনেক কিছু বলে গেলেন। প্রায় দু-মাস পর দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে গেলেন তিনি। যদিও এই তৃণমূলের নিহত পঞ্চায়েত প্রধানের স্মরণসভা হয় ভূমিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে।

অতীত মনে করালেন শুভেন্দু অধিকারী
২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের পর ২২ সেপ্টেম্বর ফের শুভেন্দুকে তৃণমূল সম্পর্কিত কোনও অনুষ্ঠানে দেখা গেল। সোনাচূড়া হাইস্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, তেখালির ভাঙা সেতু দিয়ে তাঁকে এই মাঠে নিয়ে এসেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান নিশিকান্তই। ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বরের সেই কথা তুলে ধরে অতীত মনে করালেন শুভেন্দু।

যেটা দিয়ে শুরু, সেটা দিয়েই শেষ! তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা
শুভেন্দু বলেন, অনেকেই অতীত ভুলে যান। কিন্তু আমি অতীত ভুলি না। আমি সবসময়ই বলি, যেটা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটা দিয়ে শেষ করব। তাঁর এই কথার তাৎপর্য নিয়ে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। শুভেন্দু অতীতের কথা বলে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনায় বার্তা দিতে চাইলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তৃণমূলের সঙ্গে মানভঞ্জন পর্বে ইতি টানার ইঙ্গিত!
কিছুদিন আগেই পুত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি-যোগ নিয়ে জল্পনার প্রত্যুত্তরে শিশির অধিকারী বলেছিলেন, অধিকারী পরিবারের কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে না। আর এদিন শুভেন্দু অতীত স্মরণ করিয়ে যেখান থেকে শুরু, সেখানে শেষ করার বার্তা দিলেন। বললেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা। তাঁর এই কথায় তৃণমূলের সঙ্গে মানভঞ্জন পর্বে ইতি টানার ইঙ্গিত রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

তৃণমূলের নামোচ্চারণ করেননি, শুধু অতীত স্মরণ
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে শুভেন্দু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মরণসভা করেছিলেন তমলুকে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর উত্থানের নেপথ্যে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কতটা অবদান রয়েছে। তিনি এই অনুষ্ঠানে একবারও তৃণমূলের নামোচ্চারণ পর্যন্ত করেননি। সেই শুভেন্দুই অতীত স্মরণ করিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন।

শুভেন্দুর কথায় পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যা
তাঁর অতীত উসকে দেওয়া কথায় অবশ্য পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। বিজেপি পাল্টা দিয়ে জানিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী দলে কোণঠাসা হয়ে এখন নেতৃত্বকে নিজের গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন। নন্দীগ্রামবাসীকে মনে রাখলে আম্ফানের পর তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। বিজেপির কথায় কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী।