শুভেন্দু মাস্টারস্ট্রোক দিলেন জঙ্গলমহলে! লকডাউনের নববর্ষে ত্রাণ বিলি লোধা-শবরদের
করোনা লডাউনের জেরে মানুষের বাড়ির বাইকে বেরনোই দায়। এই প্রতিকূল অবস্থায় লোধা-শবর সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
করোনা লডাউনের জেরে মানুষের বাড়ির বাইকে বেরনোই দায়। এই প্রতিকূল অবস্থায় লোধা-শবর সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নববর্ষের প্রথম দিনেই তিনি ত্রাণ পাঠালেন লোধা-শবর সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে। ঝাড়গ্রাম জেলার ছ-টি ব্লকে তিন হাজারেরও বেশি পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
লোধা ও শবর সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে
লোধা ও শবর সম্প্রদায়ের মানুষেরা বনাঞ্চলের সম্পদের উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এখন লকডাউনের জেরে সেই পথ বন্ধ। ঝাড়গ্রামের মোট আটটি ব্লকের মধ্যে শুধু গোপীবল্লভপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে লোধা-শবর পরিবারের বাস নেই। বাকি ছ-ব্লকেই লোধা-শবরদের বাস।
লোধা-শবর প্রজাতির মানুষ সংকটে
সেইমতো পয়লা বৈশাখ থেকে ওই ছয় ব্লকে শুরু হয় ত্রাণসামগ্রী বিলির কাজ। জামবনী, লালগড়, বেলপাহাড়ি, সাঁকরাইলের মানুষ শুভেন্দুর পাঠানো ত্রাণসামগ্রী পেয়ে জীবন বাঁচানোর রসদ পেলেন। পুরুলিয়ার কেন্দা থানা এলাকাতেও লোধা-শবর প্রজাতির মানুষ সংকটে পড়ে আছেন। তাঁদের জন্য এবার শুভেন্দু কী উদ্যোগ নেন, সেটাই দেখার।
পুরুলিয়ার মানুষের দুরবস্থাতেও পাশে
পুরুলিয়ার ওই এলাকার মানুষের এই দুরবস্থার কথা শুনে তাঁরা রেশন পেয়েছেন কি না খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। রেশন সত্ত্বেও লোধা-শবরদের দুরবস্থার কথা ভেবে ত্রাণ পাঠান শুভেন্দু। এর আগেও তিনি জঙ্গলমহলের দুস্থ পরিবারগুলিকে পাঁচদিনের রেশন পাঠিয়েছিলেন। এবার পাঠালেন লোধা-শবরদের জন্য।