শুভেন্দু কি ঝিকে মেরে বউকে শেখালেন! ‘২৩৫-এরও পতন হয়েছিল দম্ভে’
শুভেন্দু অধিকারী ধন্দ রেখেই জল্পনা বাড়িয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন নিত্যনতুন মন্তব্যে তিনি ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
শুভেন্দু অধিকারী ধন্দ রেখেই জল্পনা বাড়িয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। প্রতিদিন নিত্যনতুন মন্তব্যে তিনি ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তিনি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও সুদক্ষ রাজনীতিকের মতো তিনি বাণ ছাড়ছেন, যার ব্যাখ্যা করে শুভেন্দুর গতিবিধি নিরূপণ করা দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের।
বুদ্ধদেবকে একহাত নিয়ে তৃণমূল সরকারকে বার্তা?
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের আড়গোয়ালে পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনে গিয়ে বামফ্রন্ট সরকার তথা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারকে একহাত নিলেন তিনি। কিন্তু সেইসঙ্গে যেন তাঁদের তৃণমূল সরকারকেও কিছু বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর সেই বক্তব্য নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
ক্ষমতার দম্ভ দেখালে ২৩৫-ও উঠে যাবে
এই অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ক্ষমতার দম্ভ দেখালে ২৩৫ যেমন উঠে গিয়েছে, তেমনই পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদেরও মানুষ সরিয়ে দেবে। মানুষই সব। মানুষ যতদিন রাখবেন রাজনৈতিক নেতারা ততদিনই। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ‘আমরা-ওরা' রাজনীতি স্মরণ করিয়ে তিনি এদিন রাজনীতির পাঠ দেন।
পার্টি দেখে নয়, মানুষকে নিয়ে কাজের বার্তা শুভেন্দুর
শুভেন্দু বলেন, পার্টি দেখে কাজ করলে কেউ বেশিদিন থাকতে পারবেন না। মানুষকে নিয়ে কাজ করলে বেশিদিন থাকতে পারবেন। পার্টিকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, নেতাকে কাজ করতে হবে মানুষকে নিয়ে। দিনের শেষ যতই ক্ষমতার দম্ভ দেখান না কেন, শেষ কথা বলবে মানুষ।
'আমরা ২৩৫, কেন ৩০ জনের কথা শুনব'
শুভেন্দু বলেন, আমি নন্দীগ্রামের লড়াই দেখেছি। তখনকার সরকার বলেছিল আমরা ২৩৫। কেন ৩০ জনের কথা শুনব। এত পুলিশ, এত অর্থ, এত ক্ষমতা, এত বৈভব, এত সংখ্যা, এত অহংকার কোথায় গেল। মাত্র দেড় বছরের লড়াইয়ে সব ভেঙে তছনছ হয়ে গেল। মানুষ সব তছনছ করে দিয়েছে। অন্তর ঠিক রাখলেই একমাত্র টিকে থাকতে পারেন, নচেৎ নয়।
শুভেন্দুকে নিয়ে যখন জল্পনা, তখনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য
শুভেন্দুকে নিয়ে যখন জল্পনা চলছে, তখন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে শুভেন্দু সেই জল্পনা একাধারে জিইয়ে রাখলেন। শুভেন্দু আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মিডিয়ার কথা কান দেবেন না। তিনি যা বলবেন, সেটাই শেষ কথা। বাজারে যে সব রটছে সব সত্যি নয়। এরপর আবার বুদ্ধদেবের কথা তুলে কি তিনি কিছু বলতে চাইলেন নেত্রীকে! প্রশ্ন'e রয়েই গেল!