শুভেন্দু এখন জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য! তৃণমূল কংগ্রেসের অবহেলায় নতুন নামকরণ একুশের আগে
শুভেন্দু অধিকারীকেকে নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য নামে গোটা বাংলা চেনে। কিন্তু তিনি এখন আর শুধু নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য নেই, হয়ে গিয়েছেন জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য।
শুভেন্দু অধিকারীকেকে নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য নামে গোটা বাংলা চেনে। কিন্তু তিনি এখন আর শুধু নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য নেই, হয়ে গিয়েছেন জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য। দুর্গা পুজোর বাংলায় যেদিকে দু-চোখ গিয়েছে জঙ্গলমহলে শুধু শুভেন্দু পোস্টার। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছেন শুভেন্দু, তার মধ্যে জঙ্গলমহলের প্রচার বিশেষভাবে নজরে কেড়েছে।
শুভেন্দু পরিচিত ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য' নামে
গোটা ঝাড়গ্রাম শহর শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারে, ফ্লেক্সে ভরিয়ে দেওয়া হয়। তা দেখে যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিরই হিংসা হওয়া স্বাভাবিক। এই পোস্টার দিয়েছে ‘দাদার অনুগামী'রা। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে বড় বড় অক্ষরে পরিচিত করা হয়েছে ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য' নামে। তা দেখে তৃণমূলের চক্ষু ছানাবড়া।
জঙ্গলমহলের রাস্তাঘাটের দখল নিয়েছে শুভেন্দুর পোস্টার
শুভেন্দু অনুগামীরা প্রায় পুরো জঙ্গলমহলের রাস্তাঘাটের দখল নিয়েছে শুভেন্দুর পোস্টারে। এই পোস্টার রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। শুভেন্দুকে যে উপেক্ষা রা ঠিক হবে না, তা তাঁরা বোঝাতে চাইছেন বারেবারে। বারবার নানা প্রচার আঙিনায় শুভেন্দুকে তুলে ধরছেন অনুগামীরা।
তৃণমূলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে
শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা দীর্ঘদিন ধরেই দলহীন জনসংযোগ চালাচ্ছেন। বিশেষ করে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকে তাঁদের এই প্রচার পরিকল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুজোর শুভেচ্ছা বার্তাতেও শুভেন্দুকে দলহীন হিসেবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। ফলে চাপ বেড়েছে তৃণমূলের। তৃণমূলের অন্দরেই নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এখন।
শুভেন্দুর ছবিই রয়েছে শুধু, মমতার নেই
এতদিন শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ শারদোৎসবের সরকারি ও দলীয় শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া হত। সেখানে ছোট আকারে থাকতেন যিনি বিধায়ক-নেতাদের নাম-ছবি। কিন্তু শুভেন্দুকে প্রথমত দলহীন করে দেখানো হয়েছে। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর ছবিই রয়েছে শুধু, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম-ছবি কিছুই নেই।
জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্যের বয়ানে কী লেখা
জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্যের বয়ানে লেখা রয়েছে- শারদীয়া, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি ও ছটপুজো উপলক্ষে জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। নিচে লেখা- জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অনুগামীরা ব্যাখ্যা করেছেন, আমাদের দাদা পরীক্ষিত জননেতা, জঙ্গলমহলবাসীর পরমাত্মীয়। তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা তো অগ্রাধিকার পাবেই।