তৃণমূলে ত্রুটি খুঁজে পেলেন শুভেন্দু, বিপর্যয় থেকে একুশে ঘুরে দাঁড়াতে দিলেন ৬ বার্তা
তৃণমূল কংগ্রেসের কাজে ও নেতাদের কাজ এবং ব্যবহারে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই মানুষ আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। আমরা সংশোধন করে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ২০২১ সালের নির্বাচনেও আমরা জিততে পারব না।
তৃণমূল কংগ্রেসের কাজে ও নেতাদের কাজ এবং ব্যবহারে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই মানুষ আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। আমরা সংশোধন করে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ২০২১ সালের নির্বাচনেও আমরা জিততে পারব না। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধিত সভায়, সোমবার আত্মসমালোচনা করে জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি
লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের পর এটাই ছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বর্ধিত সভা। ঘাটাল আসনে জয় পেলেও, তাদের ব্যবধান কমেছে। অনেকটা শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম আসনে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। কেন এই বিপর্যয় তার কারণ খুঁজতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আমরা লড়াই করব এবং জিতবও
শুভেন্দু অধিকারী মনে করেন, এই কারণগুলোর অন্যতম হল কিছু নেতার দুর্নীতি। আমরা কিছু জায়গায় জিততে পারিনি। সেখানে আমরা লড়াই করব এবং জিতবও। দুধরনের লোক আক্রান্ত হয়েছেন। একদল দলের কাজ করতে গিয়ে, সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
অবৈধ কাজ করবেন না
আর কেউ কেউ ঘৃণার সামনে পড়েছেন। কিছু অবৈধ কাজ করেছেন। এই সব কাজ যারা করেছেন তাদের সঙ্গে আমি নেই, তাদের সঙ্গে দলও নেই। তাদের কেউ বলেনি বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত হতে। অনেকগুলো আসনে হারার পর অনেকেই এখন হতাশায় ভুগতে শুরু করেছেন। সেই কথা মেনেও নিয়েছেন তিনি।
হতাশা ছেড়ে জেগে উঠুন
মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নিশ্চিত অনেকগুলো আসনে আমরা হেরেছি। তার জন্য হতাশা হবেন না। হতাশা কাটাতে হবে। যে আশা, যে টার্গেট ছিল তা আমরা ফুলফিল করতে পারিনি। ৩৪ থেকে কমে আমাদের আসন ২২ হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ এমন ভাব করছে যেন বিজেপি ক্ষমতায় চলে এসেছে।
সংশোধন করে ঘুরে দাঁড়ান
তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে আমরা রাজ্যের ১৬৪ বিধানসভা আসনে এগিয়ে আছি। এই নির্বাচনের ফলে আমাদের দলে কিছুটা ফাটল ধরলেও কাঠামো ভেঙে যায়নি। আমরা সংশোধন করে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে ২০২১ সালে জিততে পারব না। তাই আমাদের কাজ হবে বুথ থেকে জেলা সব স্তরে অফিস খুলে রেখে মানুষের জন্য কাজ করা।
নমনীয় হওয়ার বার্তা
ঘুরে দাঁড়াতে দলের নেতা-কর্মীদের তিনি পরামর্শ দেন, নেতাকর্মীদের নমনীয় হতে হবে এবং কোনও অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা যাবে না। বুথ স্তর থেকে মানুষের সঙ্গে, মানুষের জন্য কাজ করলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন নয়। সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে।