তৃণমূলের কর্মসূচিতে গরহাজির সিংহভাগ কাউন্সিলর, শুভেন্দুর ক্ষোভে জল্পনা তুঙ্গে
তৃণমূলের নানুর দিবসে ভাটা পড়ে গেল নাকি? প্রশ্নটা উঠে পড়ল এবার। লোকসভায় হারার পর তৃণমূলের কর্মসূচিগুলি ক্রমেই ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
তৃণমূলের নানুর দিবসে ভাটা পড়ে গেল নাকি? প্রশ্নটা উঠে পড়ল এবার। লোকসভায় হারার পর তৃণমূলের কর্মসূচিগুলি ক্রমেই ফিকে হয়ে যাচ্ছে। এতদিন ঘটা করে নানুর দিবস পালন করে এসেছে তৃণমূল। এবার তার লেশমাত্র ভাগ নেই। তার উপর হলদিয়ায় নানুর দিবসে সিংহভাগ কাউন্সিলর উপস্থিত না থাকায় জল্পনা শুরু হয়ে গেল।
২০ কাউন্সিলররা অনুপস্থিত
শুভেন্দু-গড়ে পুরসভার ২০ কাউন্সিলররা অনুপস্থিত দলীয় কর্মসূচিতে। এই ছবি অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। হলদিয়া পুরসভার ২৯ কাউন্সিলরের মধ্যে মাত্র ৯ জন কাউন্সিলর উপস্থিত, বাকিরা গরহাজির। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শুভেন্দু গড় বলে পরিচিত হলদিয়াতেও তৃণমূলে ভাঙন রেখা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
উপস্থিত যারা
এদিন নানুর দিবস উপলক্ষে রক্তদান শিবির ও শহিদ দিবস পালন করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, ভাইস চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল, জেলার সাধারণ সম্পাদক পার্থ বটব্যাল, প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডল প্রমুখ।
ক্ষোভ শুভেন্দুর
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, বীরভূমের নানুরে ১১ জন সংখ্যালঘু কৃষককে নৃংশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ধান রোপন করার সময় এই নৃশংস ও নারকীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছিল তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা। তারপর থেকেই এই দিনটি পালন করা হয়। এই মহতী সভায় কাউন্সিলররা অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। কেন দলীয় সভায় তাঁরা অনুপস্থিত তার জন্য কৈফিয়ৎ তলব করা হবে বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমানিটা ঠিক কী? খায় না মাথায় দেয়, মমতাকে কাটমানিতে বিদ্ধ করে প্রশ্ন মুকুলের]