শুভেন্দু শিবিরের সমান্তরাল জনসংযোগে জোর! একুশে নির্বাচনের আগে বাড়ছে জল্পনা
শুভেন্দু শিবিরের সমান্তরাল জনসংযোগে জোর! একুশে নির্বাচনের আগে বাড়ছে জল্পনা
সমান্তরাল জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। পূর্ব মেদিনীপুরেই নয় ঝাড়গ্রমেও শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি তুলছেন জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীকে দায়িত্বে ফেরানোর। তাঁরা এভাবে বোঝাতে চাইছেন শুভেন্দুর ভিত রয়েছে জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও।
সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়িয়ে জনসংযোগেও ঢেউ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক রদবদল করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে। এবার সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়িয়ে জনসংযোগেও সেই ঢেউ আছড়ে পড়ল। শুভেন্দুর ছবি হবুকে ঝুলিয়ে মাধ্যমিকের কৃতী আদিবাসী পরীক্ষার্থীর বাড়িতে হাজির হয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
শুভেন্দুর ছবি গলায় ঝুলিয়ে সামাজিক কর্মসূচিতে
শুভেন্দু অনুগামীরা তাঁদের ‘দাদা'র ছবি গলায় ঝুলিয়ে মন্দিরা মুর্মু নামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। তারপর তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার যাবতীয় পাঠ্যবই তুলে দেন তার হাতে। চাষি পরিবারের মেয়ে মন্দিরার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত করেন। উল্লেখ্য, মন্দিরা মুর্মু এবার মাধ্যমিকে ৬৫১ নম্বর পেয়ে স্কুলসেরা হয়েছে।
জঙ্গলমহলের মানুষ শুভেন্দুদাকে ভালোবাসেন
শুভেন্দু অনুগামীরা এদিন বার্তা দেন, দাদা দলীয় দায়িত্বে থাকলেন কী থাকলেন না সেটা বড় কথা নয়। জঙ্গলমহলে দাদা যে সমাজিক কাজ করে থাকেন, সেটা চলছে আর চলবেও। জঙ্গলমহলের মানুষ শুভেন্দুদাকে ভালোবাসেন। তাঁকে বিশ্বাস করেন। মানুষের সেই ভালোবাসাই তাঁকে সামাজিক কর্মসূচিতে আবদ্ধ করে রাখে।
তৃণমূল এখন পর্যবেক্ষক পদটাই তুলে দিয়েছে
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভায় ঝাড়গ্রামে তৃণমূল বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর শুভেন্দুকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সাংগঠনিক কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুভেন্দু নিজেকে আড়াল করে নেন। তারপরই শুভেন্দুকে একক দায়িত্ব দেওয়ার কথা ওঠে। এখন তৃণমূল সেই পর্যবেক্ষক পদটাই তুলে দিয়েছে।
মানুষের জন্য সকলেই কাজ করতে পারেন
এই অবস্থায় শুভেন্দু অনুগামীরা সামাজিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন সমান্তরালভাবে। জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গিয়েছেন। আর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বলেন, নেত্রীর আদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে দলের যে কেউই সামাজিক কাজ করতেই পারেন। মানুষের জন্য সকলেই কাজ করতে পারেন। আমাদের নেত্রী চান তাঁর দলের নেতা-নেত্রীরা মানুষের পাশে খাকুন।
বিজেপির বিভাজনে 'অ্যাডভান্টেজ’ তৃণমূল! একুশের নির্বাচনের আগে মজা দেখছেন অনুব্রত