কৃষ্ণগঞ্জের পর হুগলির দাদপুর! কাঁথির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য
মারিশদার নিখোঁজ তৃণমূল নেতা রীতেশ রায় খুন। তাঁর মৃতদের দেখে সনাক্ত করেছেন ছেলে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
মারিশদার নিখোঁজ তৃণমূল নেতা রীতেশ রায় খুন। তাঁর মৃতদের দেখে সনাক্ত করেছেন ছেলে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে ৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর গলা কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে হুগলির দাদপুর থেকে। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
অমিত শাহের সভার দিন কাঁথিতে তৃণমূলের যে পার্টি অফিসে হামলা হয়েছিল সেখানেই বসতেন রীতেশ রায়। ৭ ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট থেকে বিজেপি তাঁকে অপহরণ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, তারা রীতেশ রায়কে চেনেনই না।
৭ ফেব্রুয়ারি পর থেকে তিনদিন উৎকণ্ঠায় ছিল পরিবার ও জেলার তৃণমূল নেতারা। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যও ছড়ায়। ৭ ফেব্রুয়ারি একটি ফোন আসার পরই তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর তিনি ফিরে আসেননি।
গত ২৯ জানুয়ারি কাঁথির পদ্মপুথুরিয়াতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল নেতা রীতেশ রায়ের বাড়ির পাশেই সভা ছিল অমিত শাহের। অমিত শাহের সভা শেষে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এরপর রীতেশ রায় তাঁর অনুগামীদের নিয়ে পাল্টা হামলা চালান।
এরপরই
রহস্যজনকভাবে
৭
ফেব্রুয়ারি
সন্ধ্যায়
নিখোঁজ
হয়ে
যান
কাঁথির
দুরমুঠ
অঞ্চল
সভাপতি
রীতেশ
রায়।
ওইদিন
সন্ধ্যায়
রীতেশ
রায়ের
মোবাইলে
একটি
ফোন
আসে।
তারপরই
তিনি
বাড়ি
থেকে
বেরিয়ে
যান।
বাড়িতে
বলে
যান,
শৌভিক
চক্রবর্তী
নামে
এক
ব্যক্তির
সঙ্গে
দেখা
করতে
তিনি
কোলাঘাটে
যাচ্ছেন।
কিন্তু তারপর রাত গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। ওই রাতেই একবার স্ত্রী মহুয়ার সঙ্গে একবারই ফোনে কথা হয় তাঁর। তিনি জানান, এক পরিচিত খুব অসুস্থ, তাই তিনি মালদহে যাচ্ছেন তাঁকে দেখতে। তারপর থেকেই রীতেশের ফোন সুইচড অফ। রবিবার মারিশদা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় দেহের ছবি দেখে নিজের বাবাকে সনাক্ত করেন রীতেশ রায়ের ছেলে অঙ্কিত। হুগলির দাদপুরে অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ উদ্ধারের পর তা বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা ইতিমধ্যেই মারিশদা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। বিজেপি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন।