শুভেন্দু কি তাহলে তৃণমূলে অতীত! জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে গোপন বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন
শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর কোলাঘাটে গোপন বৈঠক করল তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জেলা নেতৃত্বের একাংশকে নিয়ে এই বৈঠক করেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলায় শুভেন্দু বিরোধী বলে পরিচিত নেতারা। এখন প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের অর্থ কী, এই বৈঠকে কোন বিষয়ে ইঙ্গিত করছে?

সুব্রত বক্সির বৈঠক তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের বৈঠক
সুব্রত বক্সির সঙ্গে বৈঠকে দেখা গিয়েছে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরিকে। তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন। তারপর রয়েছে শেখ সুফিয়ান। তিনিও ঘোর শুভেন্দু বিরোধী বলে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছেন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য। ফলে এই বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার পারদ আরও ছড়িয়েছে।

শুভেন্দু তৃণমূলে থাকবেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন
শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফা দিয়েছেন বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পদ ও কমিটি থেকে। এখন শুধু রয়েছেন তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই অবস্থায় শুভেন্দু তৃণমূলে থাকবেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। তৃণমূল একপ্রকার ধরেই নিয়েছে শুভেন্দু থাকবেন না, তার প্রমাণ ওই বৈঠক!

শুভেন্দু বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সুব্রত বক্সির
রাজনৈতিক মহলের মতে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকবেন না ধরে নিয়েই গোপন বৈঠকে বসেন সুব্রত বক্সি। শুভেন্দু ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি কী হকে পারে, তা এলাকার নেতাদের মুখে জেনে নিতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কোলাঘাটের একটি গেস্ট হাউসে ওই বৈঠকে শুভেন্দু বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সুব্রত বক্সি বুঝতে চাইলেন উদ্ভুত পরিস্থিতি।

অখিল গিরিদের ভরসায় শুভেন্দুর ক্যারিশ্মা আটকানো যাবে কি
শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়া মানে তৃণমূলে যে বড়সড় ভাঙন নেমে আসবে, তা কারও অজানা নয়। সেই ভাঙন কীভাবে সামলানো যায়, ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পডজ়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু অখিল গিরিদের ভরসায় শুভেন্দুর ক্যারিশ্মা আটকানো যাবে কি, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সবমিলিয়ে তৃণমূল এখন মহাফাঁপরে।