শুভেন্দু তো একাই একশো! আবার রাজীব দোসর, দিলীপ-মুকুলকে ম্লান করে জুটিতে লুটি
লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়ে্ছিল তৃণমূলের বিজয়রথ। বিজেপির উত্থান হয়েছিল বঙ্গে। দুই থেকে একেবারে ১৮-য় পৌঁছে গিয়েছিল বিজেপির আসনসংখ্যা।
লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়ে্ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়রথ। বিজেপির উত্থান হয়েছিল বঙ্গে। দুই থেকে একেবারে ১৮-য় পৌঁছে গিয়েছিল বিজেপির আসনসংখ্যা। এই অবস্থায় চিন্তার কারণ হয়ে ওঠা বিজেপিকে আটকাতে শুভেন্দু-রাজীবকে সামনে আনেন মমতা। খড়গপুরে দিলীপ-গড় দখলে শুভেন্দুকে দায়িত্ব দেন তিনি, রাজীবকে করিমপুরে।
শুভেন্দু-রাজীব জুটির কিস্তিমাত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই এক চালেই কিস্তিমাত করে দেয় তৃণমূল। করিমপুর জেতা আসন, কিন্তু এনআরসিকে ইস্যু করে বিজেপি যেভাবে এই আসন টার্গেট করেছিল, তাতে তৃণমূলের আশঙ্কা ছিল জেতা আসনও ধরে রাখা যাবে কি না। সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে শুভেন্দু-রাজীব জুটি মমতার হাতে তিনটি আসনই তুলে দিয়েছেন।
খড়গপুরে্ দিলীপ-গড়ে শুভেন্দুর খেল
খড়গপুর আসনটি ছিল সবথেকে চ্যালেঞ্জিং। কেননা এই কেন্দ্রটি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া। তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় এই খড়গপুর সদর কেন্দ্রে ভোট হয়। এই ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে প্রথমবার জয়ী হয় তৃণমূল। এই জয়ের নেপথ্যে কৃতিত্ব ছিল মমতার প্রধান সেনাপতিদের অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর কৌশলে তৃণমূলে জোয়ার
শুভেন্দুকে এই কেন্দ্রে দায়িত্বে আনার পরই তৃণমূলে জোয়ার আসে। যেখানে তৃণমূলের সাত-আটটা গ্রুপ ছিল, তাদেরকে এক জায়গায় করে বিজেপিকে মোক্ষম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। দিলীপ-মুকুলরা বাধ্য হন শুভে্ন্দুকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে। শুভেন্দু পাল্টা আক্রমণের পথে না গিয়ে ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
ফলাফলেই জবাব শুভেন্দুর
এদিন খড়গপুরে পাশা উল্টিয়ে তিনি মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষকে জবাব দিয়েছেন। এই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ সরকার জয়ী হয়েছেন ২০৮১১ ভোটে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোট পেয়েছে ৭৪ হাজার ৪২৪, সেখানে বিজেপি ভোট পেয়েছে ৫১,৬১৩। বিজেপি এবার ক্লিক করেনি খড়গপুরে। অথচ লোকসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপির লিড ছিল ৪৭ হাজারেরও বেশি। ২০১৬-তে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখানে প্রায় ৬ হাজার ভোটে কংগ্রেসকে হারিয়েছিলেন। তৃণমূল সেখানে তৃতীয় স্থান পেয়েছিল।
রাজীবও দারুন কাজ করেছেন
একইভাবে করিমপুরের দায়িত্বে থাকা রাজীবও দারুন কাজ করেছেন। তিনি তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন। ম্লান করে দিয়েছেন বিজেপির এনআরসি ইস্যু। করিমপুর থেকে মাত্র ১২ হাজার ভোটে লোকসভায় লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। এবার তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহকে নিরাপদ ব্যবধানে জয় দিতে সমর্থ হয়েছেন।
হিট শুভেন্দু-রাজীব জুটি
আবার কালিয়াগঞ্জেও শুভেন্দু-রাজীব জুটি পিছিয়ে পড়া তৃণমূলকে জয় এনে দিয়েছেন। এখানে লোকসভায় প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী বিপুল ভোটে লিড পেলেও উপনির্বাচনে ফের তৃণমূল জয়যুক্ত হয়েছে। এই কেন্দ্রটিও প্রথমবার দখল করল তৃণমূল। ২০১৬-য় এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী। সব মিলিয়ে এক কথায় হিট শুভেন্দু-রাজীব জুটি।
বিজেপিকে ব্যাক-ফায়ার করল এনআরসি ফ্যাক্টরই! উপনির্বাচনের ফলে চমক তৃণমূলের
দিলীপকে মানসিক হাসপাতালে পাঠাতে চান! বিজেপিকে কড়া আক্রমণ ফিরহাদের