মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যোগ্য প্রধানমন্ত্রী! সবার ‘মনের কথা’ জানিয়ে ফের বার্তা শুভেন্দুর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলছেন, তিনি পদ চান না, তান বিজেপিকে দি্ল্লির কুর্সির থেকে হটাতে। কিন্তু আবারও শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, এই মুহূর্তে দেশের একমাত্র যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দ্যো
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলছেন, তিনি পদ চান না, চান বিজেপিকে দিল্লির কুর্সি থেকে হটাতে। তথাপি তাঁর দলের অন্যতম প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী আবারও দাবি করলেন, এই মুহূর্তে দেশের একমাত্র যোগ্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তিনি বলেন, শুধু আমরাই নয়, সবাই বলছেন এই কথা। সকলেই বলছেন, জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়া দেশকে কেউই বাঁচাতে পারবেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য
মহিষাদলে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সমাবেশে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জনতার কথা তুলে ধরে দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র যোগ্য দাবিদার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। আর জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সেদিকেই এগিয়ে চলেছে। কেন্দ্র থেকে বিজেপির অপসারণ এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে
এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য রয়েছে, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। বিজেপিরও সেই দশা। বিজেপিকে নিশানা করে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, তৃণমুলকে চিমটি কেটে লাভ নেই! আগামী দিনে দেশের ভবিষ্যত তৃণমূল। বরং তোমরা সাবধান হও। এবার বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।
হার্মাদরা লাল জামা বদলে গেরুয়া জামা পরেছে
এদিন কাঁথিতেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এবং ২০১৯-এর ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সভার সমর্থনে লবন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পীঠস্থান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির পীছাবনীতে বিরাট সমাবেশ করে তৃণমূল। এই সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হরিপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ ঠেকিয়ে দিয়েছি। তার জন্য মৎস্যজীবীদের সুবিধা হয়েছে। কিছুকিছু ছিন্নমূলেরা শুধু পিছাবনীতে সভা করছে। হার্মাদরা লাল জামা বদলে গেরুয়া জামা পরেছে।
আগে সামলা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা
তিনি এদিন বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, আগে সামলা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা! তারপর সামলাবি বাংলা। মোদী সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, দেশের সমস্ত প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে মোদী সরকার। আগে বলেছিল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।আর এখন নীরবকা সাথ বিজেপিকা বিকাশ। এবার প্র্তিশ্রুতি ভঙ্গের জবাব পাবে। এই পাঁচ বিধানসভা দিয়ে শুরু হচ্ছে পতনের রাস্তা। তারপর ২০১৯-এ বিজেপি বিদায়।