প্যান্ডেলে বসে 'খাতা পেড়ে' মাধ্যমিক পরীক্ষা! ডেবরার স্কুলের ঘটনায় ক্ষুব্ধ পর্ষদ সচিব
প্যান্ডেলে মাধ্য়মিক! শুনতে অবাক লাগলেও চমকে যাবেন না। এমনই ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষায়। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবড়ার পাঁচবেড়্যা হাইস্কুলে।
প্যান্ডেলে মাধ্য়মিক! শুনতে অবাক লাগলেও চমকে যাবেন না। এমনই ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষায়। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবড়ার পাঁচবেড়্যা হাইস্কুলে। এই স্কুলে ৫৯০ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছিল। কিন্তু, দেখা যায় স্কুলে যতগুলো ক্লাসরুম আছে তাতে পর্ষদের নিয়ম মেনে সব পরীক্ষার্থীকে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। ৯৭ জন পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত হচ্ছে। শেষমেশ প্যান্ডেল খাটিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ঠান্ডা গিয়ে এখন আস্তে আস্তে গরম পড়ছে। বেলা হলেই বাতাসে গরম হাওয়া বইছে। ফলে ত্রিপল খাটানো প্যান্ডেলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বহু পরীক্ষার্থীর অসুবিধা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা এমনভাবে প্যান্ডেলে বসে দিতে হবে জেনে বহু পরীক্ষার্থী বিষ্ময় প্রকাশ করেন। প্যান্ডেল খাটিয়ে এই ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার খবর পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কানেও পৌঁছয়। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব কল্যাণ মুখোপাধ্যায় এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পরীক্ষার্থীদের অন্য স্কুলে সরানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ এমনভাবে প্যান্ডেল খাটিয়ে কেন পরীক্ষার বন্দোবস্ত করল তা খতিয়ে দেখছে পর্ষদ।
প্যান্ডেলে বসে মাধ্য়মিক পরীক্ষা দিতে হবে তা জানত না পরীক্ষার্থীরা। সাধারণত এমন প্যান্ডেলে পাত পেড়ে পেটুপুজোর ছবিটাই সকলের কাছে বেশি পরিচিত। কিন্তু, এমন প্যান্ডেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে শুনে বহু অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থী চমকে যান। অভিভাবকরা জানান, তাঁদের সন্তানরা পরীক্ষা দিচ্ছে বটে। কিন্তু, প্যান্ডেলে বসে পরীক্ষা দেওয়ানোটা অমানবিক বলেই মনে করছেন তাঁরা। এক অভিভাবক জানান, তিনি ছেলেকে প্যান্ডেলে হওয়া এক্সাম সেন্টারে পৌঁছতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই প্যান্ডেলের নিচে এতটা গরম লাগছিল যে তিনি বেরিয়ে আসেন। তাঁর মতে, অভিভাবকরাই প্যান্ডেলের নিচে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে ঘেমে-নেয়ে একসা। তাহলে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে?
বিষয়টি জেলাপরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামনি মান্ডি-কে জিজ্ঞাসাও করা হয়। তিনি জানান, বিষয়টি তাঁর গোচরে আসেনি। তিনি খতিয়ে দেখছেন। মাধ্যমিকের দ্বিতীয় পরীক্ষায় আদৌ এই প্যান্ডেল সেন্টার সরছে কি না তা এখনও জানেন না পাঁচবেড়্যা স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে দেখে মুকে কুলুপ আঁটে। উল্টে কিছু লোকদের দিয়ে সাংবাদিকদের খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়।