কন্যাশ্রীর টাকা আটকাচ্ছে কাটমানি! পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ ছাত্রীর
কন্যাশ্রীর টাকা আটকাচ্ছে কাটমানি! পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ ছাত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই নিচুতলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের স্বচ্ছ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, ততই নানা ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের নিচতলার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ফের কাটমানির অভিযোগ উঠে গেল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একশো দিনের কাজে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে কাটমানি না দেওয়ায় মেয়ের কন্যাশ্রীর টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এবার।
অভিযোগ, একশো দিনের কাজে বাবা-মা টাকা না দেওয়ায় মেয়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম লেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট দিল না গ্রাম পঞ্চায়েত। এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার রসখালিতে। শেষমেশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত রাজি হয় কেকে দাস কলেজের বহাংলা অনার্সের ছাত্রী পল্লবী নস্করকে সার্টিফিকেট দিতে।
সোমবার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপতী বাছার তাঁকে সার্টিফিকেট দেন কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা প্রাপ্তির জন্য। ওই ছাত্রী যে অবিবাহিত, তার জন্যই গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাটমানির টাকা না পেয়ে ওই সার্টিফিকেট আটকে রাখা হচ্ছে বলে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ছাত্রীর বাবা-মা।
ওই কলেজ ছাত্রী শেষপর্যন্ত সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি। তিনি জেলাশাসক পি উলগানাথন ও প্রশাসনের আধিকারিকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটু তাঁকে বিশেষ সাহায্য করেছিল। এই ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তাই তাঁকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন। আর ধন্যবাদ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি এই প্রকল্প চালু করে অনেকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর নস্করের দিকে। তিনি ১০০ দিনের কাজের জন্য কাটমানির দাবি করেন বলে অভিযোগ। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অগ্রিম বাবদ ১৯ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ওই টাকা সোধন করতে পারেননি ওই ছাত্রীরা বাবা অসিতবাবু। আমি ওই টাকাই ফেরত চেয়েছিলাম।