২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ানবদল পুলিশের, মহিষাদলকাণ্ডে খুনের সঙ্গে ইভটিজিংয়ের ধারাও যুক্ত
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান বদলে গেল পুলিশের। মহিষাদলে ছাত্রীকে গাড়িতে পিষে খুনের ঘটনায় ইভটিজিংয়ের ধারাও যুক্ত হল। পরিকল্পিত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল আগেই।
মহিষাদল, ২১ অক্টোবর : ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ান বদলে গেল পুলিশের। মহিষাদলে ছাত্রীকে গাড়িতে পিষে খুনের ঘটনায় ইভটিজিংয়ের ধারাও যুক্ত হল। পরিকল্পিত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল আগেই। ধৃত দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের ধারা যুক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আহত দুই ছাত্রী বা প্রত্যক্ষদর্শীরা গাড়িতে তিনজনকে দেখলেও, পুলিশ অবশ্য এখনও তা মানতে নারাজ। তদন্তকারীরা জানান, গাড়িতে যে দু'জন ছিল সেই সুব্রত মাইতি এবং দিব্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিষাদলে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্যে ছাত্রী মৃত্যুর খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি খুনের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশকে। সেইমতো শুধু খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। এই নৃশংস ঘটনার তদন্তে সিআইডি-র সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ প্রথমে ইভিটিজিং তত্ত্ব উড়িয়ে দিলেও পরে বয়ান বদল করে জানায়, ইভটিজিংও করা হয়েছিল ছাত্রীদের। সেই ইভটিজিংই তাঁদের খুনের মতো জঘন্য অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে মহিষাদল বাসস্ট্যান্ডের অদূরে নৃশংসভাবে তিন ইভটিজার পিষে মারে এক ছাত্রীকে। অপর দুই ছাত্রীও এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন। শুক্রবার এই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়েই সামনে চলে আসে ইভটিজিংয়ের তত্ত্ব। এই খুনের পিছনে ধৃতদের অন্য কোনও অভিসন্ধি ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রীদের পরিবার।
মহিষাদল কলেজের একাদশ শ্রেণির তিন ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। নন্দকুমার থানার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনজনেই ট্রেকার থেকে নেমে হেঁটে গাড়ুঘাটার দিকে যাওয়ার সময় একটি সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে থাকা তিন যুবক তাদের পরিকল্পিতভাবে পিষে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক ছাত্রীর। অন্য দুই ছাত্রীর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চলে যায়।