হরিণঘাটায় বন্ধুর মৃত্যুশোকে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র
বন্ধুর মৃত্যুশোকে বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনা নদিয়ার হরিণঘাটায়। মঙ্গলবার সকালে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সৌমিত্র ঢালির। ডায়েরিতে লেখা সুইসাইড নোট। সেই নোটেই তাঁর যন্ত্রণার কথা উল্লেখ রয়েছে।
বন্ধুর মৃত্যুশোকে বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনা নদিয়ার হরিণঘাটায়। মঙ্গলবার সকালে নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সৌমিত্র ঢালির। ডায়েরিতে লেখা সুইসাইড নোট। সেই নোটেই তাঁর যন্ত্রণার কথা উল্লেখ রয়েছে। লেখা রয়েছে, সাগরের মৃত্যুশোক ভুলতে না পেরেই সে আত্মহতার করেছে। বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে সেই চিঠি। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
এদিন সকালে সৌমিত্র ঢালির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। খবর দেওয়ার হয় হরিণঘাটা থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালাতে থাকে। ঘর থেকেই একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। সেই ডায়েরিতেই মেলে মেধাবী ছাত্র সৌমিত্রের যন্ত্রণার কথা।
অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিল সৌমিত্র ও সাগর। দু'জনেই নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। আটদিন আগে হস্টেলের রুম থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল সাগর মণ্ডলের। সাগর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চের মেধাবী ছাত্র ছিল। পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো সাগর কেন আত্মহত্যা করল, তা স্পষ্ট হয়নি। রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হয়েছে।
সাগরের মৃত্যুর পর থেকেই তার ছোটবেলার বন্ধু সৌমিত্র মনমরা হয়ে থাকত। বন্ধুর মৃ্ত্যু শোক সে ভুলতে পারেনি। এদিন তাই সেও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ডায়েরিতে বাবা-মায়ের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।