ডেঙ্গিতে আক্রান্ত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু যাদবপুরে, সরকারি আচরণ নিয়ে ক্ষোভ পরিবারের
ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা কলকাতায়। বিজয়গড়ের পল্লীশ্রীর বাসিন্দা বছর দশের আবির্ভাব মজুমদারের মৃত্যু হয়েছে শনিবার ভোররাতে।
ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা কলকাতায়। বিজয়গড়ের পল্লীশ্রীর বাসিন্দা বছর দশের আবির্ভাব মজুমদারের মৃত্যু হয়েছে শনিবার ভোররাতে। এবিষয়ে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ থাকলেও সরকারি পর্যায়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জ্বর শুরু হয়েছিল সপ্তাহের শুরুতেই। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারে আবির্ভাবকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই আবির্ভাবের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। বুধবার তাকে আইসিইউতে দেওয়া হয়। আবির্ভাবের প্লেটলেট নেমে গিয়েছিল ১০ হাজারের নিচে। টাইপ ফোর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল আবির্ভাব।
কলকাতার একটি নামী স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত আবির্ভাব মজুমদার। ডেঙ্গিতে এই মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ একই সঙ্গে আতঙ্কিত বিজয়গড়ের পল্লীশ্রীসহ কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পাড়ায় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জ্বরের রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
পরিবারের অভিযোগ ডেঙ্গিতে মৃত্যুর পরও ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি লেখার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনায় সরকারি চাপের কথাও তাঁরা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও এই খবর অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পারিবারিক বন্ধু সিপিএম নেতা কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দাহ করতে গিয়ে শ্মশানে ২২ ও ১৮ বছরের দুই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সন্ধান পেয়েছেন। কলকাতার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলি ডেঙ্গির রোগীতে ভর্তি হলেও, সরকারের কোনও হেলদোল নেই বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রায় রোজই লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। যদিও ঘটনা মানতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। এই মুহূর্তে সরকারি হিসেবে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার।
একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুকে আদৌ ডেঙ্গিতে মৃত্যু বলে মানতে রাজি নয় স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়ে স্বাস্থ্যমহলে। বিভ্রান্ত চিকিৎসকরাও। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর যে কারণগুলিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃতি দিয়েছে, স্বাস্থ্যভবন সবকটি মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা কম করে দেখাতেই সরকারের এই পদক্ষেপ।