৮০০ কিলোমিটার দূরে ‘ক্যান্ত’, কালীপুজোতেও ঘূর্ণাসুরের দাপট বাংলার আকাশে ?
মায়ানমার উপকূলে ধাক্কা খেয়ে আবার শক্তি বাড়িয়ে ফিরে এসেছে ‘ক্যান্ত'(Kyant)। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
কলকাতা, ২৫ অক্টোবর : মায়ানমার উপকূলে ধাক্কা খেয়ে আবার শক্তি বাড়িয়ে ফিরে এসেছে 'ক্যান্ত'(Kyant)। এখন মাত্র ৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ওই ঘূর্ণিঝড়ের। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে ঘুর্ণিঝড়েরও।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওই ঘূর্ণাবর্তটির। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তা সাইক্লোনের রূপ নিচ্ছে। তবে ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সরছে নিম্নচাপটি। সেটাই একমাত্র আশার আলো। ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে নিম্নচাপটি অগ্রসর হতে থাকলে, দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র-তীরবর্তী জেলাগুলিতে শুধু হালকা বা মাঝারি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
আগামী ২৯ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার কালীপুজো। তারপর দীপাবলি। তার আগে বাংলার মানুষের প্রার্থনা এবার এই আলোর উৎসব যেন মাটি করে না দেয় ঘূর্ণাসুর। এখন নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশার উপকূলের দিকে। এই নিম্নচাপের ফলে আগামী ২৬ থেকে ২৭ অক্টোবর ওড়িশার ১১টি জেলায় ঝড় ও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ ওড়িশার আবহাওয়াবিদরা মনে করছে, এখন ওড়িশা উপকূল অভিমুখী হলেও ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে আবার দিক বদলও করতে পারে। মঙ্গলবারও বাংলার আকাশ ছিল মেঘলা। মাঝেমধ্যে রোদ উঠলেও, সেই রোদের কোনও তেজ ছিল না। মেঘলা ভাঙা রোদ উঠছে মাঝে মাঝে। আবার তা নিভে যাচ্ছে। আগামী দু'দিন আকাশের মুখ ভার থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ কোন অভিমুখে যাত্রা করে, তার উপরই নির্ভর করে আছে বাংলার আলোর উৎসবের ভাগ্য।