Storm: আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড জেলা! ঘন্টায় ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
আগামী কয়েক ঘন্টায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর হাওয়া অফিস। কলকাতা, হাওড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জন্যে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি. বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যে হাওয়া অফিসের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে থাকার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে পুরোপুরি লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে বেসামাল সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যার ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড খনি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
কোথাও উপড়ে পড়েছে গাছ, কোথাও আবার উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ। পাশাপাশি প্রবল ঝড়ের কারনে অন্ডালের মুকুন্দপুর এলাকার একটি তৃণমূল কার্যালয়ের এডবেস্টারের ছাদ ভেঙে পড়েছে।
অন্যদিকে বাড়ির ছাদ পড়ে এক মহিলা আহত বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে ঝড়-বৃষ্টি খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের। সকাল থেকে প্রবল গরমে পড়ছিল উত্তরের একাধিক জেলা। তবে বিকেল হতেই কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে শহরের আকাশ। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল আগে। সেই মতো জামাইষষ্ঠীর বিকেলে শহর জুড়ে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। প্রথমে বৃষ্টির ধারা অনেকটা কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ে বৃষ্টির তীব্রতা। বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়েছে। স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ।
তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার সহ বেশ কয়েকটি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।
কলকাতার ক্ষেত্রে সন্ধ্যের পরে ঝড়ো হাওয়া সহ বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ৪৮ ঘন্টা পর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। অন্যদিকে বর্ষা নিয়ে আশার কথা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস! আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আন্দামানের কিছু অংশে ইতিমধ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে।
তবে পয়লা জুনের পরিবর্তে চার জুন কেরলে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এরপর বাংলায় তা ছড়িয়ে পড়তে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন লাগবে বলেই মনে করছেন হাওয়াবিদরা।