রাতের অন্ধকারে লাইনের পার থেকে স্টোনম্যানের হামলা, ফের আতঙ্ক
ফের চলন্ত ট্রেনে স্টোনম্যানের হামলা। ঘটনা বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকালে।
ফের চলন্ত ট্রেনে স্টোনম্যানের হামলা। ঘটনা বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকালে। আক্রান্ত ব্যক্তির সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, শিয়ালদহ- বনগাঁ লোকাল মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ মধ্যমগ্রাম স্টেশন ছেড়ে বনগাঁর দিকে এগোচ্ছিল। হৃদয়পুর স্টেশনে ঢোকার কিছু সময় আগেই একটা জায়গায় থেকে পাথর ছোঁড়া হয়।
পাথরের আঘাতে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা মিহির ঘোষ নামে মাঝ বয়সী এক যাত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হন। দ্রুতগতিতে আসা পাথরে তার মুখ ফেটে গিয়েছে। চলন্ত ট্রেনে কোনওভাবে রুমাল চাপা দিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে সহযাত্রীরা। তারপর রাতেই তাকে নিয়ে আসা হয় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন অশোকনগর পাঁচ নম্বর এলাকার বাসিন্দা পেশায় সেলাইয়ের কর্মী মিহির। চলতি মাসের ১৩ তারিখ দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝামাঝি একটি জায়গায় পাথর ছোড়ায় জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা বছর সাতের একটি মেয়ের মুখ ফেটে যায়।
ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়তেই বনগাঁ জিআরপির তরফে নিত্যযাত্রীদের সুরক্ষা দিকে নজর রেখে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। মূলত বনগাঁ থেকে বামনগাছি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্টেশন রেললাইনের দু'পাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া বা বাজি ছোড়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। সেটা যাতে কেউ না করে এর জন্য লাগাতার প্রচার করা হয়। এরপরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মিহির।
তাই তার চিকিৎসার জন্য রেলের তরফে যাতে সাহায্য করা হয় সেই আবেদন করছে মিহির বাবুর পরিবার। অন্যদিকে এ ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এক রেলযাত্রী জানান, রেললাইন লাগোয়া বেশ কিছু জায়গায় নেশার আখড়া তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এটা কোনও সুস্থ মানুষের কাজ নয়।