আদালতকে রাজনৈতিক আঙিনায় নামালে উপযুক্ত পদক্ষেপ, কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগে কোনও বাধা নেই। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি স্কুলে শূন্যপদের নিয়োগে আদালত হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ তুলছেন, তা সঠিক নয়। এমনটাই জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নিয়োগে কোনও বাধা নেই। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি স্কুলে শূন্যপদের নিয়োগে আদালত হস্তক্ষেপ করছে বলে যে অভিযোগ তুলছেন, তা সঠিক নয়। এমনটাই জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিয়োগ নিয়ে জানিয়ছে, ১৮ হাজার চাকরি তৈরি রয়েছে। কিন্তু তা আইনি জটিলতায় আটকে আছে বলে দাবি কয়া হয়।
আর এরপরেই ১৮০০০ শূন্যপদ নিয়ে শিক্ষা দফতরের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়। কোন পদে কত শূন্যপদ সেই সংক্রান্ত তথ্য তলব করা হয়। আর এরপরেই আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত তথ্য জমা পড়ে আদালতে। যেখানে জানানো হয় নবম এবং দশমে শূন্যপদ রয়েছে ১৩৮৪২ টি। একাদশ এবং দ্বাদশে শূন্যপদ রয়েছে ৫৫২৭ টি শূন্যপদ। হেড মাস্টার পদে শূন্যপদ রয়েছে ২৩২৫ টি, প্রাথমিকে শূন্যপদ রয়েছে - ৩৯৩৬ টি।
কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলে এদিন শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়। এমনকি আদালতের নির্দেশের কারণে নবম - দশম , একাদশ - দ্বাদশ এবং হেডমাস্টার পদে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ নেই বলেও রিপোর্টে জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর। আর এরপরেই পালটা শিক্ষা দফতরকে প্রশ্ন ছূরে দেন বিচারপতি অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁর পর্যবেক্ষণ, এত শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হচ্ছে না কেন ? আর তা বলতে গিয়েই বিচারপতি আরও বলেন, রাজ্যের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বলছেন যে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রাথমিকের ৩৯৩৬ শূন্যপদে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই। কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না। সেটা বোধগম্য নয় বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তবে দীর্ঘ শুনানি শেষে কেন ৩৯৩৬ শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না তা বিস্তারিত জানিয়ে হলফনামা জমা এওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ ই অগস্টের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দফতরের অধিকর্তাকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুনানি চলাকালীন আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও হেডমাস্টার স্তরে নিয়োগে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ১৮০০০ এর বেশি শূন্যপদ রয়েছে। এগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে। কোন আইনি বাধা নেই বলে দাবি হাইকোর্টের, তবে রাজ্যের গুরুত্তপূর্ণ ব্যক্তিরা কেন আদালতকে নিয়োগে বাধা হিসাবে দেখাতে চাইছেন? প্রশ্ন বিচারপতির।
তবে এই ধরনের মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এমনকি আদালতকে রাজনৈতিক আঙিনায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আদালত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে বলেও কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের।
সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে UAPA ধারায় গ্রেফতারের অপেক্ষায় আছি! বিস্ফোরক অধীর