মহামারীর মাঝে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে আশার আলো দেখাচ্ছে 'লকডাউন স্কুল'
মহামারীর মাঝে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে আশার আলো দেখাচ্ছে 'লকডাউন স্কুল'
যত দিন যাচ্ছে ক্রমেই কঠিন হচ্ছে রাজ্যের পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পাশাপাশি, গত চার মাসের উপর বন্ধ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরীক্ষা কীভাবে হবে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এমতাবস্থায় কার্যত তীব্র অনিশ্চয়তার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে রাজ্যের পড়ুয়ারা। এরমাঝেই রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় স্কুলের বিকল্প হিসেবে শুরু হল 'লকডাউন স্কুল'।
অনলাইন ক্লাসের সামর্থ্য না থাকলেও বন্ধ থাকছেনা লেখাপড়া
লকডাউনে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই স্কুলের বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছে অনলাইন ক্লাসকে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর কাছেই স্মার্টফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, অনলাইন ক্লাসের ভাবনা খানিক দিবাস্বপ্নের মত। তাই তাদের লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয় সেই উদ্দেশ্যেই খোলা মাঠ, বড় বাগানে ঘরোয়া ভাবেই করা হয়েছে ক্লাসের ব্যবস্থা, চলছে নিয়মিত পঠনপাঠন।
'লকডাউনের স্কুলের' শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ
সরকারি সহায়তা থাকলেও মূলত স্থানীয় উদ্যোগেই রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে চলছে এই স্কুলগুলি। প্রতিনিয়ত স্থানীয় মানুষের ভালোবাসায়, যত্নেই রমরমিয়ে চলছে 'লকডাউন স্কুল'। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ১৬,০০০ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫লাখ শিক্ষার্থী এই স্কুলে অংশ নিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, " মূলত সমাজের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ।"
করোনার বিধিনিষেধ মেনেই চলছে লেখাপড়া
পূর্ব বর্ধমান জেলার শিক্ষিকা ঝুমা দাস জানান,"এই অঞ্চলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদেরই স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার করার সামর্থ্য নেই। তাদের উদ্দেশ্যেই লকডাউন স্কুল চালু করার অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।" খোলা মাঠে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে ক্লাস। এই স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পাশাপাশি সঠিক স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের সাবান ও জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা
মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় একাংশের ছাত্রছাত্রীরা কার্যত লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়ারই মনস্থির করেছিল, এর উপর অর্থ আরেকটা বড় বাধা। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করেই রাজ্যের একাধিক প্রত্যন্ত গ্রাম, উপজাতি অঞ্চলে শুরু হয়েছে লকডাউন স্কুল। এমনকি শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের ঘরে ঘরে গিয়ে ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর অনুরোধ করছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন চিত্র কার্যতই আশা জোগাচ্ছে রাজ্যবাসীকে।
রাজস্থানের রাজনীতির পারদ তুঙ্গে! উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সচিন পাইলটকে ছাঁটাই করল কংগ্রেস