
র্যাশ হলেই Monkeypox! তথ্য দিয়ে হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর
করোনা'র মধ্যেই ভয় ধরাচ্ছে নয়া মাঙ্কি পক্স! বিশ্বের একাধিক দেশে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে নয়া এই ভাইরাস। যদিও ভারতে এখনও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নয়া এই মাঙ্কি পক্সে নিয়ে একাধিক রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। সমস্ত রাজ্যগুলিকে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখার কথাও বলা হয়েছে।

বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বাংলাতে।
আর এই নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বাংলাতে। আগেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় এখনও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সবরকম ভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানান মেয়র। স্বাস্থ্য দফতরও এই বিষয়ে যদি যথেষ্ট সতর্ক। ইতিমধ্যে দফতরের তরফে কলকাতা বিমানবন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে আগেই। এমনকি নজরদারি বাড়ানো'র কথাও বলা হয়েছে বলে খবর।

বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
আর এরমধ্যেই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, জেলা দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নয়া এই ভাইরাস কীভাবে মোকাবিলা তা নিয়েই বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। হঠাত করে শরীরে কোনও র্যাশ বেরলে তা কি কারণে বোঝা না গেলে চিকিৎসকদের সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও বিদেশ ভ্রমনের ইতিহাস আছে খতিয়ে দেখতে হবে।

নমুনা পাঠানো হবে পুনের ল্যাবে
শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গত কয়েকদিনে কার সঙ্গে মিশেছে সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর যদি সত্যিই মাঙ্কি পক্সের নমুনা পাওয়া যায় কারোর শরীরে, দ্রুত সেই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্তত ২১ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও নমুনা পাওঠানো হবে পুনেতে।

পক্স নিয়ে আতঙ্কের তেমন কিছু নেই।
অন্যদিকে আইসিএমআর জানাচ্ছে, নয়া মাঙ্কি পক্স নিয়ে আতঙ্কের তেমন কিছু নেই। ভারত নয়া এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে। আইসিএমআরের এক বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারোর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ট্রাভ্যেল হিস্ট্রি আছে তাঁদের উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে দাবি আইসিএমআরের।