‘সুস্থ’ ভাবমূর্তি ধরে রাখতেই করোনা পরীক্ষায় বাধা খোদ রাজ্য প্রশাসনের! সামনে আসছে বিস্ফোরক অভিযোগ
বর্তমান করোনা মানচিত্র দেখা যাচ্ছে বিগত প্রায় ৬ সপ্তাহ ধরেই ভারতের করোনা সংক্রমণ খানিক নিম্নমুখী। আর এই চিত্র দেখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক খানিক স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও উুঁকি দিচ্ছে অন্য আশঙ্কার কথা। অভিযোগ বর্তমানে দেশের করোনা মানচিত্রে রাজ্যের 'সুস্থ’ চিত্র তুলে ধরতে করোনা টেস্টে বাধা দিচ্ছে একাধিক রাজ্য সরকার।

করোনা টেস্টিং নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ থাইরোকেয়ারের শীর্ষকর্তার
এদিকে বুধবারই গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। যদিও দৈনিক সংক্রমণে খানিক ভাটা দেখা গেছে গত মাসের শুরু থেকেই। এমতাবস্থায় একাধিক রাজ্যের করোনা টেস্টিং নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী ডায়াগনস্টিক ল্যাব থাইরোকেয়ার টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ভেলুমানিকে। তার স্পষ্টই দাবি করোনা তালিকায় পিছনের সারিতে থাকতেই টেস্টিং প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে একাধিক রাজ্য।

করোনা পরীক্ষা বাড়াতে নিষেধ করছে রাজ্য প্রশাসন ?
শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ ভেলুমানি আরও বলেন, " অনেক জায়গাতেই বেসরকারি উদ্যোগে করোনা টেস্টিং শুরু হলেও জেলা স্তরের তা আটনাকানোর চেষ্টা করছে। আগেও এই ঘটনা হচ্ছিল না এমনটা নয়। তবে ইদানিং তা বেড়েছে। আর এতে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে রাজ্য প্রশাসনগুলির। অনেক রাজ্যেই একাদিক জেলা থেকে আমাদের নুমনা সংগ্রহ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। এমনকী এও বলা হচ্ছে আমরা নাকি ভুয়ো পজেটিভ রিপোর্ট দিচ্ছি।"

অভিযোগ সামনে আসার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য প্রশাসনিক মহলে
এদিকে দেশের মধ্যে যে সমস্ত বেসরকারী ল্যাবগুলি করোনা মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তাদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে থাইরোকেয়ার। এমনকী মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং উত্তরাখণ্ড সহ সর্বাধিক করোনা কবলিত রাজ্যগুলিতেও সংক্রমণের শুরু থেকেই করোনা টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছে এই ল্যাব। বর্তমানে তারই শীর্ষকর্তার এই গুরুতর অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিক থেকে নাগরিক মহলেও।

১০০টি জেলায় ২ হাজারের কম করোনা পরীক্ষা
সূত্রের খবর, বর্তমানে আগের তুলনায় প্রত্যহ প্রায় ২ হাজারের কম করোনা পরীক্ষা হচ্ছে প্রায় ১০০টি জেলায়। এবং তা সম্পূর্ণ ভাবেই সরকারি নির্দেশে। থাইকেরের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন এ ভেলুমানি। এমনকী আগে যে সমস্ত জেলা গুলি থেকে তারা নুমনা সংগ্রহ করতেন তার পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানান জিনি। যদিও এই ক্ষেত্রে ওই সমস্ত জেলা গুলি নাম প্রকাশে রাজি হননি থাইরোকেয়ারের শীর্ষকর্তা।
করোনা ভ্রুকুটি কাটিয়ে বিনিয়োগের নয়া গন্তব্য ভারত, দেশবাসীকে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদীর