মন্দার বাজারেও প্রায় ৩ লাখ কর্মসংস্থান দিয়েছে রাজ্য সরকার, দাবি মমতার
গোটা দেশে যখন কর্মসংস্থানে চরম সংকটজনক অবস্থা ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।
গোটা দেশে যখন কর্মসংস্থানে চরম সংকটজনক অবস্থা ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যে ৩০,২৩১টি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি মাপের শিল্প তৈরি হয়েছে রাজ্যে। সেসব শিল্পক্ষেত্রেই এই বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে উৎসাহ
রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প স্থাপনে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যে ৩০,২৩১টি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি িশল্প তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই এই ধরনে উদ্যোগে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এবং এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
৩ লাখ কর্মসংস্থান
২০১৯ সালে রাজ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৩ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা ১৪টি কর্মমিত্র সফল হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার কুটির শিল্প সরাসরি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই কর্মমিত্র প্রকল্পটি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মসলিনকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে জনপ্রিয় করতেও একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝারি শিল্প উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যর বস্ত্রশিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে।
আরও বাড়বে কর্মসংস্থান
জলপাইগুড়ি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে আরও দুটি কুটির শিল্পের হাব তৈরি করা হচ্ছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই হাব কাজ শুরু করবে। তাতে কর্মসংস্থান আরও তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৩ লাখ কর্মসংস্থান আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।