২০ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার! শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি
ব্যাপক শিক্ষক নিয়োগ করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই নিয়োগ করা হবে। গত কয়েকদিন আগেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ঠিক কীভাবে কত শূন্যপদে এই নিয়োগ করা হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি।
তবে কত শূন্যপদে এই নিয়োগ করা হবে তা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করে ফেলা হয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। এমনটাই দাবি করা হয়েছে প্রকাশিত এক সংবাদমাধ্যমে।

২০ হাজার শূন্যপদের জন্যে এই নিয়োগ
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী প্রায় ২০ হাজার শূন্যপদের জন্যে এই নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে তা চুড়ান্ত রাজ্যের তরফে করে ফেলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে নিয়োগের জন্য রোস্টারও চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে বলেও খবর। খুব শিঘ্রই এই প্রস্তাব স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এরপরেই সরকারি ভাবে এসএসসি'র মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এতে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় পদক্ষেপ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোথায় কত নিয়োগ
ইতিমধ্যে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে এই বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা করা হয়েছে। আর সেখানে ২০ হাজার শূন্যপদের জন্যে এই নিয়োগ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১৪ হাজার শূন্যপদ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরে ছ'হাজারের বেশি শূন্য পদ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই নিয়োগ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। সুপারিশ পাঠানোর পরেই অনুমোদন করে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি আকারে জানাবে বলে জানা যাচ্ছে।

স্বচ্ছতার মাধ্যমেই নিয়োগ
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগ। মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় ছয় বছরে মাথায় ফের একবার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যে ২০১৬ সালের পর এটাই প্রথম শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই শিক্ষক পদে নিয়োগ হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। এমনকি প্রধান শিক্ষক পদের জন্যেও এই নিয়োগ করা হবে। আর এই নিয়োগ ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। যদিও ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, দুর্নীতি নয়, স্বচ্ছতার সঙ্গেই এই শিক্ষক নিয়োগ হবে।