গুরুং বধে মমতার হাতিয়ার কি জিটিএ দুর্নীতির তদন্ত, এফআইআর-এর তোড়জোড়
জিটিএ-এর দুর্নীতির তদন্তে আরও বিপাকে পড়তে পারেন বিমল গুরুং। রাজ্য সরকারকে চাপে রাখতে মোর্চার অভিযোগ ঠিকমত জিটিএ-র দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়নি।
জিটিএ অডিট নিয়েও এবার কড়া অবস্থান নিচ্ছে সরকার। কোনও গরমিল ধরা পড়লেই সটান এফআইআর-এর পথে হাঁটতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। এই অডিটের কাজ দ্রুত শেষ করতে আরও ছ'জন আধিকারিককে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। জিটিএ-কে দেওয়া কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ অর্থ কোথায় খরচ করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতেই স্পেশাল অডিট টিম তদন্ত চালাচ্ছে।
অর্থ দফতরের অডিট ও অ্যাকাউন্টসের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই টিম জিটিএ-র হিসেব খতিয়ে দেখছে। দু'সপ্তাহের মধ্যেই এই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার কথা। এরমধ্যে নতুন করে আরও ছ'জন অডিটরকে শিলিগুড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। মনে করা হচ্ছে জিটিএ-এর দুর্নীতি তদন্তে কোনও গরমিল ধরা পড়াতেই আরও অডিটরকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর এই অডিট দ্রুত শেষ করাই এখন রাজ্য সরকারের লক্ষ্য।
জিটিএ-র আয়ু আর একমাস। তারপরই ভোট। তার আগেই এই অডিট রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসমক্ষে আনতে চাইছেন বলেই সূত্রের খবর। অডিট রিপোর্ট কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়লেই দেরি না করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে যে টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার, তার হিসেব দিতে পারেনি জিটিএ। তখনই এ বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো পাহাড় বনধের দিনই স্পেশাল টিম পাঠিয়ে কাজ শুরু করা হয় জিটিএ অডিটের। জিটিএ-কে দেওয়া ২০০ কোটি টাকা কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এখন জোর তৎপরতা নবান্ন থেকে যাওয়া স্পেশাল অডিটর দলের।