পঞ্চায়েতের ভোটের জন্য ক’দিন ছুটি পাবেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল সরকার
১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আসর বসছে। সেই উপলক্ষে ওইদিন রাজ্যের ২০টি জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হল।
১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আসর বসছে। সেই উপলক্ষে ওইদিন রাজ্যের ২০টি জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হল। ওই দিন সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি ছুটি থাকবে স্কুল-কলেজ, দোকান, শিল্পসংস্থা, বাণিজ্যিক সংস্থাতেও। ছুটি থাকবে চা বাগানগুলিতেও। এমমনকী পঞ্চায়েত এলাকার বাইরে যাঁরা থাকেন, তাঁরাও এই ছুটির আওতাভুক্ত হবেন।
শুক্রবারইই রাজ্যের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে এনআইএ অ্যাক্টে এই সাধারণ ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়। এই নির্দেশিকার আরও বলা হয়েছে, যেসব কর্মীরা ভোটের কাজে যুক্ত থাকবেন, তাঁরা পরের দিন বিশেষ ছুটি পাবেন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট ব্যালটে হবে। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত তা গড়াতে পারে। সেই কথা ভেবেই পরদিন ছুটি দেওয়া হয়েছে কর্মীদের।
এদিকে শনিবার থেকেই ছুটির উৎসব শুরু হয়ে গেল রাজ্যে। টানা চারদিন ছুটির আনন্দে মাততে চলেছেন সরকারি কর্মীরা। ২৮ এপ্রিল থেকে ১ মে- টানা চারদিন ছুটি সরকারি কর্মীদের। শনিবার থেকে মঙ্গলবার- এই টানা ছুটিতে যেমন সরকারি কর্মীদের মধ্যে খুশির আমেজ, তেমনই ঘোর চিন্তায় সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা টানা চারদিন বন্ধ থাকায় সমস্যা বাড়বে। ভোগান্তির শিকার হবেন সাধারণ মানুষ।
২৮ এপ্রিল চতুর্থ শনিবার। ব্যাঙ্ক বন্ধ। পরদিন আবার রবিবার। আর সোমবার ৩০ এপ্রিল বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। ১ মে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। ফলে চারদিন কোনও কাজ হওয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায় শুক্রবারের পর ব্যাঙ্ক-সহ সরকারি অফিসগুলি খুলবে একেবারে বুধবার।
এর আগে ১ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তার ফলে ২ মে রাজ্যে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছিল। সেই নিরিখে টানা পাঁচদিন সমস্যায় পড়তে হত সাধারণ গ্রাহকদের। যদিও সরকার এখনও ছুটি বাতিল ঘোষণা করেনি। ভোট পিছিয়ে ১৪ মে চলে যাওয়ায় স্বাভাবিক নিয়মেই ২, ৩,৫-এর ছুটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ১ মে ভোটকর্মীরা কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য ২ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য। এখন তার আর প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।