করোনা সুরক্ষা-বিধি শিথিল করল রাজ্য প্রশাসন, বিয়েবাড়ি-মেলার ক্ষেত্রে মিলল ছাড়
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশরে বুকে। বাংলাও তার বাইরে নয়। বাংলাতেও ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় করোনার বিধি নিষেধ মেনে চলার মেয়াদও বাড়িয়ে দেওয়া হল।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশরে বুকে। বাংলাও তার বাইরে নয়। বাংলাতেও ওমিক্রনের চোখ রাঙানিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় করোনার বিধি নিষেধ মেনে চলার মেয়াদও বাড়িয়ে দেওয়া হল। তবে কিছু ক্ষেত্রে শিথিলও করা হয়েছে কোভিড-বিধি। সুরক্ষা বিধি শিথিল করা হয়েছে বিয়ে বাড়ি ও মেলার ক্ষেত্রে।
করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়া রুখতে রাজ্য সরকার ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা জানিয়েছিল। শনিবার সেই মেয়াদ বাড়ানো হল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে ছাড়া দেওয়া হল বিয়েবাড়ি ও মেলার ক্ষেত্রে। শর্তসাপেক্ষে দুটি ক্ষেত্রে ছাড় দিল রাজ্য প্রশাসন। করোনা মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি এবং উদ্বেগের কারণ পর্যালোচনা করার পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের কার্যনির্বাহী কমিটি, করোনার নতুন রূপ 'ওমিক্রন' বিপর্যয় রুখতে বর্তমান বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে। এবং প্রয়োজন অনুসারে শিথিলকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তা হবে অনুমতি ক্রমে। তবে দুটি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ছাড় দিয়ে কিছু শর্ত আরোপ করেছে। এক, বিবাহ সম্পর্কিত কার্যাবলী সর্বাধিক ২০০ জনকে নিয়ে করা যাবে। এবং মেলা করা যাবে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ জনের অনুমতি ছিল। অর্থার ৫০ জনকে নিয়ে বিয়েবাড়ি করার কথা বলা ছিল আগের নির্দেশিকায়। এবার তা বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০০ জনকে নিয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করা যাবে। এই ছাড়ে আসন্ন বিয়ের মরশুমে খানিকটা সুবিধা হল ঠিকই, কিন্তু একইসঙ্গে উদ্বেগও রয়ে গেল। এই ছাড়ে বেলাগাম হতে পারে অনেকেই, সই আশঙ্কা থেকেই যায়।
একইসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, খুব সীমাবদ্ধ পদ্ধতিতে এবং উন্মুক্ত স্থানে মেলা করা যাবে। শর্ত পূরণ হলেই মিলবে মেলা করার অনুমতি। এর ফলে রাজ্যে শুধু গঙ্গাসাগর মেলা নয়, অন্যান্য মেলার অনুমোদনও দিয়ে দিল রাজ্য। তবে সেক্ষেত্রে কিচউ নিয়ম মানতে হবে, যেমন- সময়, সর্বাধিক ৫০ শতাংশের প্রবেশাধিকারের নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোভিড-শৃঙ্খলা এবং প্রোটোকল মেনে সবকিছু করতে হবে।
সেইসঙ্গে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য ও হাইজিন প্রোটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এই নিয়মগুলি সর্বদা অনুসরণ করে চলতে হবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ কমিশনারেট এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে অনুশাসনের মধ্যে রাখবে পরিস্থিতি। বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫-এর বিধান অনুসারে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।