সরকারি কর্মচারীদের তিনদিনের ছুটি ‘বাতিল’, এবার কোমর বেঁধেছে তৃণমূল সরকার
এক বনধের ধাক্কায় তিনদিনের ছুটিতে কোপ পড়ল সরকারি কর্মীদের। রাজ্য সরকারের তরফে ফলাও করে জানিয়ে দেওয়া হল- শুধু ২৬ সেপ্টেম্বরের বনধের দিন নয়, তার আগের দিন ও পরের দিনও ছুটি নিতে পারবেন না সরকারি কর্মীরা। বিজেপির ডাকা বনধের মোকাবিলায় বেশ কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার, তা তাঁদের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীগোষ্ঠীর প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন সরকারি কর্মীদের প্রতি। সেইসঙ্গে অর্থ দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বনধের দিন অবশ্যই হাজিরা দিতে হবে। ওইদিন অর্ধদিবস ছুটিও নেওয়া যাবে না। গরহাজিরা হলে বেতন কাটা যাবে, কর্মদিবস থেকেও বাদ যাবে একটা দিন।
ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানে। এমনকী সরকার অধিগৃহীত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা। সেইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকেও খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলার মানুষ কর্মনাশা বনধ মানবেন না। তাঁরাই ব্যর্থ করে দেবেন।
[আরও পড়ুন:মমতার ঘোষণা আইনি-ফাঁসে, দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা ]
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়েছেন, বাস মারাত্মক ক্ষতি হলে বা আগুন লাগানো হলে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার ২৬০০ সরকারি বাস নামানো হবে রাস্তায়। থাকবে ৫০-৬০টি ভেসেল। পরিবহন নিগমের সমসেয় ডিপোয় বাড়তি বাস থাকবে। বেসরকারি বাসও নামবে রাস্তায়।
[আরও পড়ুন: মাঝসমুদ্রে প্রবল ঝঞ্ঝার মুখে জীবন বাজি রেখে লড়াই কম্যান্ডারের, ভিডিও-য় উদ্ধার-কাহিনি ]
আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও কর্মী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, পরিবারের নিকটজনের অসুস্থতা বা আত্মীয়বিয়োগ ঘটলে, ২৪ তারিখের আগে ছুটি নেওয়া থাকলে ছাড় পাবেন কর্মীরা। এছাড়া সন্তান পালনের ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিকেল লিভ আগে থেকে নেওয়া থাকলে ছাড় মিলবে। নচেত সমস্ত কর্মীকে হাজিরা দিতে হবে ওইদিন। অর্ধদিবস ছুটিও অনুমোদন হবে না।
[আরও পড়ুন:রাহুলের সঙ্গে 'টক্কর'! একসঙ্গে রাজ্য সফরে মোদী-অমিত শাহ]