উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের, রাজ্য পুলিশের ঘেরাটোপেই ভোট
বাংলায় উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক হয় কমিশনে। সেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার বিষয়টি।
বাংলায় উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক হয় কমিশনে। সেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তার বিষয়টি। যেখানে কমিশনের দাবি, যথাযথ পুলিশ কর্মী থাকবে।
পাশাপাশি প্রত্যেক বুথেই সিসিটিভি থাকবে বলেও জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কোনও ভাবনা কমিশনের নেই বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১০ টার সময়ে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানান, আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার সময়ে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে আজ থেকেই আদর্শ আচরণ বিধি লাঘু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সব জায়গাতে এই বিধি কার্যকর হবে না বলেই জানানো হয়েছে। যেখানেই এই ভোট হবে সেখানে নিয়ম কার্যকর থাকবে। তবে শুক্রবার থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। তবে এই মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২ রা জুন।
কোথায় কবে ভোট?
ভোট হবে আগামী ২৬ জুন। সেই প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। আর এই প্রস্তুতির মধ্যে এবার ভোট হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদেও। আর তা হবে জিটিএ নির্বাচনের দিন অর্থাৎ ২৬ জুনই। ফলে একই দিনে দুটি হেভিওয়েট নির্বাচন ঘিরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
ভোট হবে ছয় পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে
একই সঙ্গে ভোট হয় ছয় পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। সেগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ঝালদা পুরসভার একটি আসন এবঙ্গ পানিহাটির একটি। পুরসভা ভোটের পরেই খুন হতে হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। ইতিমধ্যে এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। যদিও কাউন্সিলারের মৃত্যু পর থেকে শূন্য অবস্থায় রয়েছে ওই ওয়ার্ডটি। সেখানেই ভোট হবে। একই ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পানিহাটিও। পানিহাটিতে কাউন্সিলর অনুপম দত্তকেও একই ভাবে খুন হতে হয়। সেখানেও ভোট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ইভিএমেই এই ভোট হবে
অন্যদিকে ইভিএমেই এই ভোট হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে ভিভিপ্যাট থাকছে না বলেও জানানো হয়েছে। তবে শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কমিশন কতটা তৈরি? এই প্রসঙ্গে কমিশন জানায়, গত পুরসভা নির্বাচনে যতগুলি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল প্রত্যেকটিই তৎপরতার সঙ্গে দেখা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয়বাহিনী না থাকলেও যথা সম্ভব বাড়তি পুলিশ থাকবে বলেও জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে। এমনকি প্রত্যেক বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
করোনা বিধি মানা হবে
তবে করোনা বিধি মানা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কড়াকড়ি কিছু থাকছে না। শুধুমাত্র স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কমিশনের তরফে। পাশাপাশি রাত ৯ থেকে সকাল ৯ পর্যন্ত কোনও মিছিল-মিটিং নয় বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই স্ক্যানারে সওকত মোল্লা, পাসপোর্ট সহ হাজিরার নির্দেশ বিধায়ককে