কলকাতা পুরসভার প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি নির্বাচন কমিশনের
পুরো নিগমের প্রশাসক বসানোর নিয়ে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। প্রশাসক বসানো সংবিধানিক কিনা তা নিয়েও মামলা বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে এবার বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বে বসানো নিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ফিরহাদ হাকিম কে কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসানোয় নিয়ম লঙ্ঘন কিনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে। পাশাপাশি, চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরহাদ হাকিম বেতন বা ভাতা পান কিনা, কী ধরনের কাজ তাঁকে করতে হয়, কবে তাঁর পদে বসার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, পুর প্রশাসকের পদটি রাজ্য সরকারের অধীনে কিনা সহ আরও ৯টি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে ডিরেক্টর (আইন) বিজয় কুমার পান্ডে এই চিঠি দিয়ে জানতে চান। এই চেয়ারম্যান পদের নিয়োগকর্তা, নিয়োগ পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ সহ জানতে চাওয়া হয়েছে পুর-প্রশাসক হিসেবে আনুসঙ্গিক কী কী সুবিধা ফিরহাদ ভোগ করেন এবং লাভজনক পদ সংক্রান্ত আইনে কলকাতার পুর প্রশাসকের চেয়ারম্যান পদটি ছাড়ের তালিকায় রয়েছে কিনা।
তবে এনিয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, 'কমিশনের তরফে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। সঠিক সময়ে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হবে।'প্রসঙ্গত, গত ৭ মে শেষ হয়েছে পুরসভার পাঁচ বছরের মেয়াদ। ৬ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, কলকাতা পৌর নিগমের জন্য ১৪ জনের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ৮ তারিখ থেকে পুরসভা চালাবেন প্রশাসক। নয়া বোর্ডে প্রশাসক হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম।শুধু কলকাতা পুরসভা নয়, রাজ্যের আরও যে ৯৩ টি পুরসভা, যেখানে ভোট হওয়ার কথা ছিল, সেখানেও প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। যা নজিরবিহীন। ইতিহাসে এই প্রথমবার কলকাতা পৌর নিগমে বসানো হয় প্রশাসক। ৮ মে থেকেই কলকাতা পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
তবে এর মধ্যে অনেক আইনী জল গড়িয়েছে আদালতে। এই পদ অসাংবিধানিক। এবং একজন পৌর মন্ত্রীকে পৌর নিগমের প্রশাসক হিসাবে বসানো সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। এই দাবি জানিয়ে, নিয়ম বৈর্ভূত ভাবে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। যা বিচারাধীন রয়েছে আদালতে। তার মধ্যেই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের এই রকম জবাবী চিঠি অস্বস্তি বাড়িয়েছে নবান্নের।

এমবিবিএস পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের ডাক্তারি পড়ুয়াদের