রাহুলের নির্দেশ পেয়ে সক্রিয় প্রদেশ কংগ্রেস, মোদীর পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথা উঠে এল বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের ভাষ্যে। তিনি দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের। এমনকী গ্রেফতারের দাবিও তুলে দিল প্রদেশ কংগ্রেস।
হাওড়া, ৩ জানুয়ারি : নোটকাণ্ডে কেন প্রদেশ কংগ্রেস নিষ্ক্রিয়, কেন কোনও আন্দোলন নেই প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের কাছ থেকে বার্তা আসার পরই নড়েচড়ে বসল প্রদেশ কংগ্রেস। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথা উঠে এল বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের ভাষ্যে। তিনি দাবি তুললেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের। এমনকী গ্রেফতারের দাবিও তুলে দিল প্রদেশ কংগ্রেস।
সোমবার হাওড়া জেলা কংগ্রেসের অফিসে সংবাদিক বৈঠক করে আবদুল মান্নান জানান, নোট বাতিলের জেরে এখন পর্যন্ত গোটা দেশে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই জনবিরোধী নীতিই। সেই কারণেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারের দাবি তুলছি। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হবে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে জনসভা করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে কংগ্রেস।
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিলের পর ইতিমধ্যেই ৫০ দিনের সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষের সমস্যা মেটিন। এখনও প্রতি এটিএমে স্বাভাবিক হয়নি টাকার জোগান। ব্যাঙ্কেও পর্যাপ্ত টাকা মিলছে না। সবথেকে বড় কথা নোট বাতিলের উদ্দেশ্যও পূরণ হয়নি। কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে? আমরা জানতে চাইব মোদীজির কাছে। উল্টে নতুন করে কালোবাজারি সক্রিয় হয়েছে।
নোট বাতিলের পর যে টাকা উঠে এসেছে, সেই টাকা তো পুরোটাই সাধারণ মানুষের সাদা টাকা। তাহলে কালো টাকা উদ্ধারের কী হল? তার জবাব চাইব কেন্দ্রের সরকারের কাছে। মোদীজি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন কাউকে না জানিয়ে যে এইভাবে এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন মোদীজী, তা গত ৮ নভেম্বর থেকে কত কালো টাকা জমা পড়েছে, তা আমরা জানতে চাই। সেই কথাই আমরা বলব সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে।
তাইশুধু জনসভা নয়, নোটকাণ্ডকে হাতিয়ার করে আমরা মানুষের দরবারে যাব। তবে এ রাজ্যে নীতিগতভাবে একই জায়গাট থাকলেও, তৃণমূলের সঙ্গে যৌথ আন্দোলন সম্ভভব নয়। আমরা তাই পৃথক আন্দোলন করব। তৃণমূলের হাত ধরে এক যোগে আন্দোলন করা সম্ভব নয় এ রাজ্যে।