বাংলায় রাজ্য কংগ্রেসেও ইস্তফার হিড়িক! রাহুলের পরে সরলেন যাঁরা
রাহুল গান্ধীর পথেই প্রদেশ কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন সহ সভাপতি ওমপ্রকাশ মিশ্র। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে লেখা চিঠি তিনি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
রাহুল গান্ধীর পথেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন সহ সভাপতি ওমপ্রকাশ মিশ্র। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে লেখা চিঠি তিনি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। সেখানেই তিনি পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসে অধীর চৌধুরী পন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত এই নেতা। কপি পাঠিয়েছেন এআইসিসির তরফে রাজ্য কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌরব গগৈকেও।
বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন ওমপ্রকাশ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর থেকে নির্বাচিত সাংসদ অধীর চৌধুরী যেমন জোটের পক্ষে ছিলেন, তেমনই জোটের পক্ষে ছিলেন এই নেতাও। তিনি চেয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে জোট হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। শোচনীয় ফল হয়েছে বামেদের। আর ওমপ্রকাশ মিশ্রের দলের আসন সংখ্যা চার থেকে নেমে দুই হয়েছে। তবে জোট না হওয়ার পিছনে কংগ্রেস ও বামেদের শীর্ষ নেতৃত্ব অনেকটাই দায়ী বলেও মত তাঁর।
২০১৬-র জোটের অন্যতম কাণ্ডারি
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের যে জোট হয়েছিল, তার অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র।
'ফলের দায় সকলের'
ওমপ্রকাশ মিশ্রের মতে রাজ্যে কংগ্রেসের এই ফলের দায় সকলের। বিশেষ করে যাঁরা জোটের বিরোধিতা করেছিলেন সেই দীপা দাশমুন্সি এবং শংকর মালাকার যেমন দায়ী তেমনই দায়ী সোমেন মিত্র এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। ওমপ্রকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, রাজ্য কংগ্রেসের কার্য নির্বাহী সমিতির বৈঠকে সব পদাধিকারীর পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাতে কেউ সায় দেননি।