পুরভোটে লড়াইয়ের 'পথ' নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি! অমিত শাহই করবেন সমাধান, আশা নেতৃত্বের
পুরভোটে লড়াইয়ের 'পথ' নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি! অমিত শাহই করবেন সমাধান, আশা নেতৃত্বের
তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ের পথ নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে অনেকে বিষয়টি নিয়ে উভয় সংকটের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। একপক্ষ চাইছেন পুরভোটের দিন নিয়ে রাজ্য সরকারের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হোক। অপরপক্ষ চাইছেন সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হোক।
এপ্রিলে পুরভোট সারতে চায় রাজ্য
এপ্রিলে পুরভোট সারতে চায় রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে ১২ এপ্রিল দিনটিকে ধার্য করা হয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার পুর নির্বাচনের জন্য। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না জানালেও বিজেপির তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যপাল ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে।
সিদ্ধান্ত নিয়ে দুভাগ রাজ্য বিজেপি
এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিৎ তা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত দুভাগ। একপক্ষ চাইছে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়া হোক। কেননা শাসকদল প্রচারের সময় না দিকে একতরফা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে চাইছে। অপরপক্ষ চাইছেন, দল পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ১৮ টি আসন জয়ের পর যথেষ্টই শক্তিশালী। তাই সরাসরি লড়াইয়ের ময়দানে নামা হোক।
প্রচারে সময় না পাওয়ার অভিযোগ বিজেপির
ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে ২৪ দিন সময় পাওয়ার কথা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। এব্যাপারে আদালতের দুটি নির্দেশ তিনি তুলে দিয়েছিলেন। যার একটি হল পরীক্ষা চলাকালীন প্রচার না করা এবং অপরটি হল প্রচারের জন্য ন্যুনতম সময়। বিজেপির দাবি, ১২ এপ্রিল ভোট নেওয়া হলে দুই আদেশেরই লঙ্ঘন হবে। কেননা, রাজ্যে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক-সহ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ৩০ মার্চ।
সিদ্ধান্ত নেবেন অমিত শাহ
অমিত শাহ শহিদ মিনারে সভা করবেন ১ মার্চ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেখান থেকেই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তারা।
বিজেপিতে কি বড় ভাঙন দিল্লি হিংসা ঘিরে! মুখ খুলেই বিস্ফোরক গম্ভীর