মুকুলের যোগদানে অক্সিজেন না উৎকণ্ঠা রাজ্য বিজেপিতে! কী বলছেন দিলীপ ঘোষরা
আমরা সংগঠন বাড়াতেও যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছি। কিন্তু আমাদের যেটা নেই, তা হল সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে জয়ের অভিজ্ঞতা। সেই কাজে বিশেষ পারদর্শী মুকুল রায়।
অবশেষে বিজেপির উত্তরীয় গায়ে জড়ালেন মুকুল রায়। দিদি-র সংসর্গ ত্যাগ করে মোদি-র ঘরে আসার দিন রাজ্য স্তরের কোনও নেতা মুকুলের যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও, তাঁর পদ্মশিবিরে আগমনকে স্বাগত জানালেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন মুকুল। ছিলেন ওই দলের দু-নম্বর। এমন একজন নেতাকে পেয়ে লাভবানই হবে বিজেপি।'
তিনি বলেন, 'সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাঁর আগে মুকুল রায়ের এই যোগদান দলকে সমৃদ্ধ করবে। তাঁর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে দলের। কোনও সন্দেহ নেই মুকুলবাবুর যোগদানে রাজ্য বিজেপি আরও অক্সিজেন পাবে।' এদিন মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর একপ্রকার উচ্ছ্বসিত তিনি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে নিয়েই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্যে সভাপতি আরও বলেন, 'আমরা রাজ্যের বিস্তারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সংগঠন বাড়াতেও যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছি। কিন্তু আমাদের যেটা নেই, তা হল সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে জয়ের অভিজ্ঞতা। সেই কাজে বিশেষ পারদর্শী মুকুল রায়। তেমনই একজনকে আমরা পেয়ে গিয়েছি দলে। তাই তাঁকে নিয়ে আমাদের পার্টি লাভবান হবেই। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেই তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে তৃণমূল।'
দিলীপবাবু বলেন, 'আমাদের মধ্যে অনেক ফাঁকফোঁকড় রয়েছে। সংগঠনের সেই ফাঁক পূরণ করে মুকুলবাবু আমাদের সঠিক পথ দেখাবেন বলেও আমার বিশ্বাস। নির্বাচনে জয়কে প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন মুকুল রায়। তিনি যে ভোট ম্যানেজার হিসেবেও প্রসিদ্ধ, তার পরিচয় তিনি রেখেছেন আগেও। এবার তিনি সেই কাজ করবেন আমাদের হয়ে।'
দিলীপবাবুর মতোই মুকুল রায়কে গেরুয়া শিবিরে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি জানান, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে অরাজকতা চলছে। তা দূর সরে রাজ্যে পরিবির্তন আনতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। আমার বিশ্বাস, অচিরেই আমরা সুফল পাবো।