সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষ বসলেও, পুরভোটে সেই মুকুল রায়ের ওপরই ভরসা রাখল রাজ্য বিজেপি
সভাপতি পদে দিলীপ বসলেও, পুরভোটে সেই মুকুলেই ভরসা রাখল রাজ্য বিজেপি
ভোট বৈতরণী পাড়ে সেই মুকুল রায়ের ওপরই ভরসা রাখতে হল রাজ্য বিজেপিকে। দ্বিতীয়বার সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষকে বসিয়েও তার উপর ভরসা রাখতে পারলেন না বিজেপির শীর্ষ নেতারা। পুরনির্বাচনে রাজ্য বিজেপির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হল মুকুল রায়কে।
পুরভোটে বিজেপির আহ্বায়ক মুকুল
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোটেই অ্যাসিড টেস্ট হতে চলেছে বিজেপির। তাই দিলীপের মতো নেতায় আস্থা রাখতে পারলেন না তাঁরা। লোকসভা ভোটের সাফল্যের কথা মাথায় রেখে সেই মুকুল রায়েই আস্থা রাখতে হয়েছে তাঁদের । পুরভোটের যে ৫৭ জনের কমিটি গঠন করেছে বিজেপি তার নেতৃত্বে থাকছেন মুকুল রায়। তিনি হচ্ছেন পুরভোটে রাজ্য বিজেপির আহ্বায়ক।
পাখির চোখ পুরভোট
বিজেপির এখন পাখির চোখ আসন্ন পুরনির্বাচন। যেভাবেই হোক পুরসভা গুলিতে বিজেপির দখল বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপির টার্গেট ছিল পুরসভা গুলি। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় শাসকদলকে রীতিমত সংকটে ফেলে দিয়েছিল মুকুল। এই সবই ঘটিয়েছিলেন মুকুল রায়। এবং তাঁর দল বদলের রাজনীতি। পাহাড় থেকে সমতর সব জেলাতেই পুরসভা গুলিতে শাসক দলকে রীতিমত চাপে ফেলেছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। কারণ পুরসভাগুলি দখল করতে পারলে বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে।
পুরভোটের কমিটি গঠন
রাজ্যের পুরভোটকে মাথায় রেখে ৫৭ জনেক কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মুকপল রায়। তার ডেপুটি হিসেবে থাকছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং। দিলীপ ঘোষ থাকলেও তেমন গুরুত্ব তাঁকে দেওয়া হবে বলে মনে হয়না। কারণ কমিটিতে দলভারী করেছেন রাহুল ঘনিষ্ঠরা। রাহুল সিনহা নিজে কমিটিতে জায়গা করে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিতেশ তিওয়ারি জায়গা করে নিয়েেছন সেখানে। শ্রীরামপুরের পুরভোটের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এছাড়া বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীও রয়েছেন কমিটিতে। এমকী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা বিধায়কদেরও জায়গা দেওয়া হয়েছে এই কমিটিতে।