'ছন্দে ফেরা' শতাব্দীর রামপুরহাট সফরে স্থানীয় বিধায়ক-মন্ত্রীর অনুপস্থিতি! নয়া জল্পনা শুরু
১৬ তারিখ দুপুর ২ টোয় তাঁর ফেসবুক লাইভ করার কথা ছিল। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে পোস্ট করে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন শতাব্দী। ২৪ ঘণ্টা পার হতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল। শতাব্দী দলের প্রতি তখনই আস্থার বার্তা দিতেই তারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলের সহ সভাপতি পদে বসেন বীরভূমের তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিকে, ছন্দে ফেরার পর আজ ছিল তাঁর রামপুরহাট সফর।
'সুরে' ফিরতেই শতাব্দী রামপুরহাটে!
এই সপ্তাহেই বেসুরো হওয়ার পর সবেমাত্র ছন্দে ফিরেছেন শতাব্দী। তারপর আজই ছিল তাঁর রামপুরহাট সফর। এদিকে, দলের কর্মসূচিতে শতাব্দীকে ডাকা হয়না বলে কয়েকদিন আগেই সাংসদ ফেসবুক পোস্টে জানান। আর তা নিয়ে বীরভূমবাসীর প্রতি বার্তায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। জল্পনা চড়ে যে তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সংঘাতের জেরে এমনটা করলেন শতাব্দী? তবে যাবতীয় জল্পনার ইতি শতাব্দী টানলেও, এদিন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস রায়ের স্টান্সে জল্পনা বাড়ছে।
আশিসের পদক্ষেপ ও শতাব্দীর রামপুরহাট সফর
এদিন রামপুরহাটে শতাব্দী রায়ের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। আর সাংসদ যখন কেন্দ্রে তখন স্বভাবতই লাইমলাইট গিয়ে পড়ে এলাকার বিধায়কের ওপর। এদিকে, রামপুরহাটের মাটিতে শতাব্দী পা রাখতেই রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস রায় সেখানে ছিলেন না। জানা গিয়েছে , তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। আর এই জায়গা থেকেই জল্পনার পারদ চড়ে।
শতাব্দী রাজ্য কমিটিতে
এদিকে, দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেও তা নিয়ে পরে আপোশের রাস্তায় আসা শতাব্দীকে এদিন দলের রাজ্য সহ সভাপতির পদ দিয়েছে তৃণমূল। কার্যত বীরভূমের সাংসদকে 'পুরস্কৃত' করা হয়েছে বলে অনেকেই তৃণমূলকে নিয়ে বক্তব্য রাখছেন এই ইস্যুতে। এমন এক জায়গা থেকে বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রতগড়ে দলের সাংসদ পা রাখতেই বিধায়কের অনুপস্থিতি ঘিরে কিছুটা জল্পা তৈরি হয়েছে।
অভিষেক-কুণালের বৈঠক ও বীরভূমের মাটি
এর আগে, শতাব্দীর বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্টের পরই বীরভূমের বুক থেকে তৃণমূল কর্মীর দাবি তোলেন যে শতাব্দীর উচিত দলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়ট মেটানো। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলও স্পষ্ট বলেন, বাইরে মুখ খোলা শতাব্দীর ঠিক হয়নি। এদিকে, ততক্ষণে কলকাতায় তৃণমূল শতাব্দীর মানভঞ্জনে নেমে সাফল্য পেয়ে যায়। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে বসে শতাব্দী ও কুণালের আলোচনা হয়। যারপরই শতাব্দী জানিয়ে দেন তিনি দলের সঙ্গে আছেন। এরপরই ২৪ ঘণ্টা পার হতেই শতাব্দী তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান। পদ পান সহ সভাপতির।