দুর্নীতির মধ্যেই স্বস্তির বার্তা! পুরনো মেধাতালিকায় সবাইকে চাকরি'র বার্তা এসএসসি'র
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে! আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক নিয়োগ হয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই স্বস্তির বার্তা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালের প্যানেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে! আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক নিয়োগ হয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই স্বস্তির বার্তা দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালের প্যানেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনটাই জানানো হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে।
আজ শুক্রবার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই এসএসসি'র তরফে এহেন বার্তা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে আশার আলো দেখছেন বাংলার অসংখ্য চাকরি প্রার্থীরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, পুরানো মেধাতালিকায় নাম রয়েছে এমন অনেকেই রয়েছেন চাকরি পাননি। তাঁদেরও চাকরি'র ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে এসএসসি'র তরফে। ইতিমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভা নতুন পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এরপরেই নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দাবি স্কুল সার্ভিস কমিশনের। শুধু তাই নয়, স্বচ্ছ ভাবেই নিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন সরকারের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। যেখানে বলা হয়েছে ৬,৮৬১টি পদ তৈরি করা হচ্ছে একেবারে নতুন করে। যার মধ্যে ১৯৩২টি পদ রয়েছে নবম এবং দশমের জন্যে। একাদশ এবং দ্বাদশের জন্যে ২৪৭টি শূন্যপদ রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গ্রুপ সি-র জন্য ১,১০২টি এবং গ্রুপ ডি-র ১,৯৮০টি পদ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ৮৫০টি পদ রয়েছে শারীরশিক্ষা এবং কর্ম শিক্ষায় ৭৫০টি শূন্যপদ রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই সমস্ত নিয়োগ হচ্ছে বলে দাবি সরকারি আইনজীবীর।
বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এমনকি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিও প্রকাশ্যে এসেছে। গ্রুপ সি এবং ডি'তে একের পর এক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। একাধিক দুর্নীতিতে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগ নিয়েও দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মেয়েকে চাকরি করে দিয়েছেন পরেশ, এমনটাও অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এর মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে এহেন বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।