৯ নয়, ২৯ মার্চ হবে এসএসসি পরীক্ষা
কেন এই সিদ্ধান্ত? বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, যে প্রার্থীরা ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের ফর্ম এখনও স্ক্রুটিনিই করে উঠতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ জন্য সাম্প্রতিক ব্যাঙ্ক ও ডাক ধর্মঘটকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, আসলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অকর্মণ্যতাই দায়ী। পেশাদারিত্বের অভাবে তারা নিজেরা হিমশিম খেয়েছে। ফলে, পরীক্ষার ছ'দিন আগে অসংখ্য প্রার্থী অ্যাডমিট কার্ডই হাতে পাননি। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। ফলে চাপে পড়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হল।
এদিকে, ৩০ মার্চ আবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা। বহু প্রার্থী প্রাথমিক এবং এসএসসি, দু'টিতেই আবেদন করেছেন। ২৯ তারিখ পরীক্ষার পর আবার তাঁদের ৩০ তারিখ পরীক্ষায় বসতে হবে। ফলে, ২৯ মার্চ এসএসসি পরিবর্তিত পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে ঠিক করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের ওপর চাপ পড়বে যথেষ্ট। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো অনেক প্রার্থী ৩০ মার্চের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডই পাননি। কবে পাবেন, জানেন না। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
এখন প্রশ্ন হল, এই পরীক্ষা দিয়েও প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে চাকরি পাবেন কি না! কারণ আগের দফায় যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে পাশ করলেও এখনও চাকরি দেয়নি এসএসসি। সম্প্রতি সল্ট লেকে এসএসসি অফিসের সামনে অনশনেও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। আবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তো, ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন।