তৃণমূলের লেটার হেডে চাকরি প্রার্থীদের নাম! নিয়োগ দুর্নীতির মাঝে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক চিঠি
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কার্যত ল্যাজে গোবরে অবস্থা তৃণমূল সরকারের! একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি। আর সেই মামলাতে ইতিমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কার্যত ল্যাজে গোবরে অবস্থা তৃণমূল সরকারের! একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি। আর সেই মামলাতে ইতিমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এরপরেই বেশ কিছু তথ্য সামনে আসছে।
তৃণমূলের একাধিক নেতার নাম এবং সুপারিশ সংক্রান্ত নথি সামনে আসছে। তেমনই সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম একটি চিঠি ফাঁস করেছে। যা নিয়ে নতুন করে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলে।
চলতি বিতর্কের মাঝেই সামনে এসেছে একটি চিঠি। যেটি তৃণমূলের লেটার হেডে লেখা। ইন্ডিয়া টুডের হাতে ওই চিঠি এসেছে, যাতে জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপের স্বাক্ষর রয়েছে। খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে এটি ক্রান্তি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের লেটার হেডে লেখা। সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর নাম এবং রোল নম্বর। এছাড়া রয়ছে পরীক্ষার দিন, সময় এবং স্থানের বিস্তারিত তথ্য। তিন জন প্রার্থীর নাম লেখা রয়েছে সেখানে। তাঁরা কোথায় কখন পরীক্ষা দেবেন তা উল্লেখ করা রয়েছে কার্যত ওই সুপারিশ পত্রে।
আর সেই চিঠি সামনে আসার পরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা বলছে এই চিঠির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, টাকা কিংবা সুপারিশের বিনিময়ে যে চাকরি দেওয়া হয়েছে তা কার্যত স্পষ্ট বলেও দাবি বিরোধীদের। যদিও এই বিষয়ে ওই সংবাদ মাধ্যমকে মহুয়া গোপ জানিয়েছেন, ওই চিঠিতে থাকা সই ভুয়ো। তিনি নাকি এমন কোনও সুপারিশ পত্রে সই -ই করেনি বলে দাবি।
অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতেও রাজি। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ মহুয়া গোপ। এমপ্নকি এই চিঠি কোথা থেকে ফাঁস হয়েছে তা খতিয়ে দেখবেন বলেও ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
তবে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন অস্বস্তি বাড়ছে সেই সময় এই চিঠি সামনে এসে নয়া বিতর্ক তৈরি করেছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত চলছে।
ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী সহ বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের আশঙ্কা, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১০০ কোটির বেশি দুর্নীতি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বান্ধবীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।