শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধা পেয়ে কলেজ-রুমে ছাত্রী-নিগ্রহ, গারদে স্থান জিএসের
নানা অছিলায় ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীকে নিগ্রহের ঘটনায় গারদে স্থান হল তৃণমূল ছাত্র নেতার।
নানা অছিলায় ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীকে নিগ্রহের ঘটনায় গারদে স্থান হল তৃণমূল ছাত্র নেতার। তার কুপ্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় কলেজ-রুমে আটকে ছাত্র সংসদের জিএস এক ছাত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দলের বেয়াড়া ছাত্রনেতা আত্মসমর্পণ করে আদালতে। বিচারক তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ১৪ দিনের জেল হেফজাতের নির্দেশ দেয়।
[আরও পড়ুন:নিৃগৃহীতা ছাত্রীর পাশে মমতা, তৃণমূলের চাপেই আত্মসমর্পণ ছাত্র সংসদের জিএসের ]
এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, কেন পুলিশ হেফাজতে চাওয়া হল না রিষড়া বিধানচন্দ্র কলেজের জিএস সাহিদ হাসান খানকে? তাহলে কি প্রভাবশালী নেতার ছেলে বলেই ছাড় দেওয়া হল তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন কলেজের জিএসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে, তারপরও কেন এই পক্ষপাতদুষ্টতা? রাজনৈতিক মহল এ প্রশ্ন উঠেছে।
এদিন শ্রীরামপুর আদালতে তোলার পর তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে তাকে দেল হেফাজতে পাঠায়। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন পুলিশ ওই ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করতে পারল না, কেনই বা তাঁকে হেফাজতেও চাওয়া হল না? সরকারি আইনজীবীর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত রিষড়া কলেজের ছাত্র সংসদের জিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার। অভিযোগ, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সায় না দেওয়ায় কলেজ রুমে আটতে ছাত্রীকে মারধর করা হয়। শ্লীলতাহানিও করা হয় তার। শুধু তাই নয় সেই ভিডিও ভাইরালও হয়ে যায়। এরপরই ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে সরব হয় সমস্ত মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তারপরই আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত ছাত্র নেতা।