আর চার নম্বরের জন্য আফশোস রয়ে গেল, মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়ে প্রতিক্রিয়া শ্রীজার
গতবারের মতোই বাঁকুড়াও এবার ভালো ফল করেছে। বাঁকুড়াপ বিবেকানন্দ শিক্ষায়তন হাইস্কুলের শ্রীজা এবার পঞ্চমস্থান অধিকার করেছে।
বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতেই জেলার জয়জয়কার। কলকাতাকে টেক্কা দিয়ে জেলাগুলির এবার দারুন ফলাফল করেছে। এবার অন্য জেলাকে টেক্কা দিয়ে প্রথম হয়েছে কোচবিহার সঞ্জীবনী হালদার। তবে গতবারের মতোই বাঁকুড়াও এবার ভালো ফল করেছে। বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষায়তন হাইস্কুলের শ্রীজা পাত্র এবার পঞ্চমস্থান অধিকার করেছে।
মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়ে শ্রীজা আনন্দে আত্মহারা। এই খবর পাওয়ার পরই শ্রীজার প্রতিক্রিয়া ভালো রেজাল্ট করব জানতাম, কিন্তু এত ভালো রেজাল্ট হবে ভাবিনি। ভাবিনি র্যাংক করব। এখন মাধ্যমুকে পঞ্চম হওয়ার পর আফশোস হচ্ছে আর চারটি নম্বরের জন্য। তাহলে ফার্স্ট হতে পারতাম।
শ্রীজা জানিয়েছে, সে চিকিৎসক হতে চায়। সেই লক্ষ্যেই সে এগিয়ে চলেছে। বায়োলজি তাঁর প্রিয় বিষয়। তবে কোনও বিশষয়কেই সে অবহেলা করত না। প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করেই মাধ্যমিকে চমৎকরা সাফল্যের অধিকারী হয়েছে সে। শ্রীজা জানাল, তার প্রতি বিষয়েই একজন করে প্রাইভেট টিউটর ছিল।
স্কুলের পাশাপাশি প্রাইভেট টিউটারের কাছে পড়েই বারবার মূল্যায়নের মাধ্যমেই সে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। প্রাইভেট টিউটরের কাছে নিয়মিত পরীক্ষা দিয়েই সে নিজেকে তৈরি করেছে মাধ্যমিকের মতো বড় আসরে। শ্রীজা তার সাফল্যের জন্য বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছে বাবা-মা ও দিদিকে। সেইসঙ্গে স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে সাফল্যের পিছনে।