সূর্য-বিমান যুগের 'অবসানে' সিপিএম-এর পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক কে? উঠে আসছে তিন নাম
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanta Mishra) বর্তমানে সিপিআইএম (CPIM)-এর রাজ্য সম্পাদক (State Secretary)। দলের বয়সের ঊর্ধ্বসীমাজনিত নতুন নিয়মের কারণে তাঁকে সরে যেতেই হবে। এমন এর পরিস্থিতিতে নতুন কে
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanta Mishra) বর্তমানে সিপিআইএম (CPIM)-এর রাজ্য সম্পাদক (State Secretary)। দলের বয়সের ঊর্ধ্বসীমাজনিত নতুন নিয়মের কারণে তাঁকে সরে যেতেই হবে। এমন এর পরিস্থিতিতে নতুন কেউ দায়িত্ব নেবেন যখন প্রমোদ দাশগুপ্তের হাতে গড়া সংগঠনের কার্যত কোন অস্তিত্ব নেই। সেই সময়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে তিন নাম আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
শ্রীদীপ ভট্টাচার্য
বরাবরই প্রচারের আলোর বাইরের মানুষ তিনি। প্রচারের বাইরে থেকেই কাজ করছে পছন্দ করেন। সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য দলে তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে পরিচিত। একটা সময়ে তিনি হাওড়া জেলার সিপিএম-এর সম্পাদক ছিলেন। তবে অন্য জেলাগুলিতে তাঁর সেরকম পরিচিতি নেই। সাধারণভাবে তিনি পার্টির ক্লাস নিয়ে থাকেন। ভোটের লড়াইয়ে সেরকম না থাকলেও ২০১৩ সালে হাওড়া লোকসভার উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে করে হেরে গিয়েছিলেন।
সুজন চক্রবর্তী
দীর্ঘদিন সংসদীয় রাজনীতিতে ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। যাদবপুরের বিধায়ক ছিলেন ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত। এর আগে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে তিনি যাদবপুরের সাংসদও ছিলেন। সুবক্ত হিসেবে পরিচয় রয়েছে। বাম আমলে একাধিক সরকারি অধিগৃহীত সংস্থার পদেও ছিলেন তিনি। দলের শ্রমিক সংগঠন সিটুর পদও সামলেছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী দলের নিচুতলায়ও জনপ্রিয়। তবে তাঁর আগে দলের সর্বোচ্চ কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। সেই কারণে সিনিয়রিটির দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন হাওড়ার নেতা।
মহঃ সেলিম
সিপিএম-এর
পরবর্তী
সম্পাদক
হিসেবে
সংখ্যালঘু
মুখ
মহঃ
সেলিমের
নামও
উঠে
আসছে।
একদিকে
তিনি
যেমন
পলিটব্যুরোর
সদস্য,
অন্যদিকে
বাংলার
পাশাপাশি
হিন্দি
ও
ইংরেজিতেও
সাবলীল।
লোকসভা
এবং
রাজ্যসভায়
সাংসদ
থাকার
কারণে
সর্বভারতীয়
ক্ষেত্রে
পরিচিত
মুখ
তিনি।
২০০৪-২০০৯-এর
মধ্যে
কলকাতা
উত্তর-পূর্বের
সাংসদ,
পরে
২০১৪-তে
রায়গঞ্জ
থেকে
সংসদে
গিয়েছিলেন।
এর
আগে
১৯৯০
থেকে
২০০১
সালের
মধ্যে
একাধিকবার
রাজ্যসভার
সদস্য
ছিলেন
তিনি।
এছাড়াও
তিনি
বাম
আমলে
রাজ্যের
মন্ত্রীও
ছিলেন।
আগের
দুজনের
থেকে
তিনি
এগিয়ে
থাকলেও
গত
বিধানসভা
ভোটে
আব্বাস
সিদ্দিকির
ইন্ডিয়ান
সেকুলার
ফ্রন্টের
সঙ্গে
জোট
করায়
তাঁর
ভূমিকা
নিয়ে
অনেকের
কাছেই
প্রশ্ন
ছিল।
রাজ্যে
দলের
শূন্য
হওয়ার
জন্যও
তাঁকে
দায়ী
করেন
অনেকে।
সেই
কাজই
এখন
কার্যত
বাধা
হয়ে
দাঁড়াচ্ছে
তাঁর
রাজ্য
সম্পাদক
হওয়ার
ক্ষেত্রে।
সম্পাদক বাছতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন যাঁরা
বর্তমানে সিপিএম-এর ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় দলের রাজ্য সম্পাদক বেছে নিতে দুই বর্ষীয়ান নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। তাঁরা হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তবে দলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত হবে। এর আগে অবশ্য পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক হিসেবে শমীক লাহিড়ী কিংবা কল্লোল মজুমদারের নামও দলের নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আলোচনায় কার নামে সিলমোহর পড়ে এখন সেটাই দেখার।
বাসস্থান স্থানান্তরিত হয়েছে, কীভাবে অনলাইনে ভোটার কার্ডের ঠিকানা আপডেট করবেন