ভোটে জেতার পর থেকে নীরব, যোগ দিলেন না বিজেপির ধরনাতেও! মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে জল্পনা
২০১৯-এর ভোটে রাজ্যে বিজেপির (bjp) ১৮ আসন জয়ে পর্দার পিছনে তিনিই ছিলেন। এবারও তাই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওপর তলার নির্দেশে লড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে নিজের কেন্দ্র ছাড়া তাঁকে প্রচারে দেখা যায়নি। এহেন মুকুল রায়কে (mukul roy) নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কেননা বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে তাঁকে কোথাও দেখা যায়নি। দেখা যায়নি এদিন বিজেপির ধরনাতেও।
কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সুসম্পর্কের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে! মোদীর পালটা টুইটে জানালেন মমতা

লোকসভায় ১৮ আসন জেতানোর পিছনে
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগেও দলবদল হয়েছিল। কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক, ব্যারাকপুরের অর্জুন সিংরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর ২০১৯-এর নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে বিজেপি একধাক্কায় ২ থেকে ১৮তে পৌঁছে যায়। বিজেপির এই সাফল্যের পিছনে অনেকাংশেই ছিলেন মুকুল রায়। সবমিলিয়ে বিধানসভার ভিত্তিতে ১২১ টি আসনে এগিয়ে ছিল বিজেপি।

এবার দেখা যায়নি প্রচারে
মুকুল রায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে চাননি বলেই সূত্রের খবর। তিনি চেয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের মতোই পিছন থেকে কাজ করে যেতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁকে লড়াই করতে হয়েছিল। ফলে তাঁকে নিজের কেন্দ্র বাদ দিয়ে আর কোথাও প্রচারেও দেখা যায়নি। এবারের প্রচার ছিল কার্যত মুকুলহীন। নিজের ছেলের কেন্দ্র বীজপুরেও দেখা যায়নি তাঁকে। অন্যদিকে বিজেপিও লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এগিয়ে থাকা আসনের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি। অথচ তাঁর কাঁধেই কিনা ছিল দলের সংগঠনকে মজবুত করার দায়িত্ব। ফলে কেন এই পরিস্থিতি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরমহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

বিজেপির কর্মসূচিতেও নেই
নির্বাচনের ফল বেরনোর পরে বিজেপির প্রথম এবং বড় কর্মসূচি এদিন ছিল দেশ জুড়ে। এদিন কলকাতায় সব থেকে বড় ধরনা কর্মসূচিটি হয় রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলিধর সেন লেনে। সেখানে ধরনা মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা। সেই মঞ্চে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। যা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে জল্পনা
কেউ কেউ আবার বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা অভিমান করে দল ছেড়েছেন, তাঁদের জন্য দরজা খোলা। সেই দিকেই কি মুকুল রায় পা বাড়াবেন কিনা, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
তবে দলের একটি সূত্র বলছে মুকুল রায় অসুস্থ। সেই কারণে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে বিরোধী দলনেতা পদও দেওয়া হবে না। সেখানে রয়েছে অতিরিক্ত চাপ। তবে এব্যাপারে অধিক সময় বিধায়ক ও সাংসদ থাকা শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে রয়েছেন।
কেউ কেউ আবার বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যাঁরা অভিমান করে দল ছেড়েছেন, তাঁদের জন্য দরজা খোলা। সেই দিকেই কি মুকুল রায় পা বাড়াবেন কিনা, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
তবে দলের একটি সূত্র বলছে মুকুল রায় অসুস্থ। সেই কারণে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে বিরোধী দলনেতা পদও দেওয়া হবে না। সেখানে রয়েছে অতিরিক্ত চাপ। তবে এব্যাপারে অধিক সময় বিধায়ক ও সাংসদ থাকা শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে রয়েছেন।