হলদিয়া পেট্রোকেমের অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে IOC-র বিশেষ দল
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন ৪৪ জন। মৃতের সংখ্যাও দাঁড়িয়েছে তিনজন। এবার, ২১ ডিসেম্বর হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল অগ্নিকাণ্ডে তদন্তে নামল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের উচ্চস্তরীয় দল। বুধবার দুপুরে সেই বিশেষ দলটি দিল্লি থেকে হলদিয়া এসে পৌঁছোয়।

জানা গিয়েছে, হলদিয়া অগ্নিকাণ্ডে তিনজন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। বাকি ৩৮ জন শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷ সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। এদের মধ্যে তিনজন ঠিকাকর্মীকে চিকিৎসার পর ছুটিও দেওয়া হয়েছে৷ ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের এক মুখপাত্র বলেন, ' যে তিনজন কর্মী মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করব আমরা। এই দুঃখজনক পরিস্থিতিতে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের সিনিয়র ম্যানেজারি গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন৷ আমাদের সংস্থা ক্ষতিগ্রস্তদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। মৃত কর্মীন্তো বটেই, আক্রান্তদেরও ক্ষতিপূরণ দেবো আমরা।'
কিন্তু ঠিক কোন কারণে এই বিধ্বংসী আগুণ লাগে? মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হুয়েছিল, মোটর স্পিরিট কোয়ালিটিতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর সর্বপ্রথমে অগ্নিদগ্ধদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই দেখা যায়, প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন ব্যক্তি। এরপরই তড়িঘড়ি গ্রিন করিডোর করে বাকি আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বলে রাখা ভাল, মঙ্গলবার বিকেল মকগাদ আগুন লাগে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালে। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আইওসির রিফাইনারি। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেন, কালো মেঘের মতো উড়ছে ধোঁয়া, রাসায়নিকের গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। ঘটনার জেরে যথারীতি শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্রান্ত শ্রমিকদের দ্রুত আরোগ্যকামনাও করেছেন তিনি।
