
নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই তদন্ত করবে সিট! নেতৃত্বে সিবিআইয়ের যুগ্ম-অধিকর্তা
এসএসসি সহ নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাতেই তদন্ত করবে এবার সিবিআই-এর সিট। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হলে এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। অন্যদিকে এদিন শুনানিতে এসএসসির সব মামলায় প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিট সিবিআইয়ের তরফে গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সেই সিটের মাথায় কেন যুগ্ম অধিকর্তা পর্যায়ের অফিসার রাখা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে শেষমেশ সিবিআইয়ের যুগ্ম-অধিকর্তা এন.বেনুগোপালের নেতৃত্বে সিট গঠন করে দিল আদালত। প্রাইমারি তদন্তের তত্ত্বাবধানে থাকবেন এন. বেনুগোপাল। পর্যবেক্ষনের জন্য থাকবেন কলকাতার দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান রাজীব মিশ্র।
তবে এদিন সিবিআইয়ের তরফে একটি তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেখানে সিটের মধ্যে কোন কোনও আধিকারিক থাকবেন তাঁদের নাম রয়েছে। যেমন থাকবেন ধরমবীর সিংহ (অ্যাডিশনাল সুপার) সত্যেন্দ্র সিংহ (ডেপুটি এসপি), কে.সি. রিশিনামোল (ডেপুটি এসপি), সোমনাথ বিশ্বাস (ইন্সপেক্টর) মলয় দাস, (ইন্সপেক্টর) ইমরান আশিক (ইন্সপেক্টর) -এর মতো আধিকারিকরা। তবে মামলাকারীদের তরফে কে.সি. রিশিনামোলকে এই সিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিষয়টি সিবিআইকে খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। তবে এই মামলার শুনানিতে উপেন বিশ্বাস বলেন, যুগ্ম-অধিকর্তার নেতৃত্বে এই সিট গঠন করা উচিত। নাহলে বাইরের প্রভাব থেকে এই সিটকে রক্ষা করা সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।
আর এরপরেই বিচারপতি'র পর্যবেক্ষণ, এই সিটকে নেতৃত্বে দিতে যুগ্ম-অধিকর্তার অসুবিধা কোথায়? আমি চাই যুগ্ম-অধিকর্তা এই সিটের মাথায় থাকুন। আর তা বলতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বলেন, যুগ্ম-অধিকর্তার কোন অসুবিধা থাকলে আমি উপেন বিশ্বাসকেই সিটের মাথায় বসিয়ে তদন্ত করতে বলব। এক্ষেত্রে উপেন বিশ্বাসের বয়স এবং অন্যান্য তথ্য জানতে চান বিচারপতি।
তবে শেষমেশ সিবিআইয়ের যুগ্ম-অধিকর্তাকেই সিটের মাথায় বসানোর কথা জানায় হাইকোর্ট। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপাতত দু থেকে তিন মাস সিটের নেতৃত্বে থাকুন যুগ্ম-অধিকর্তা। তারপর কোন অসুবিধা থাকলে আমাকে জানাবেন।
অন্যদিকে আগামী সোমবারের মধ্যে একাধিক তথ্য আদালতে পেশ করার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। অন্যদিকে প্রথম কিস্তিতে প্রায় সাত লাখ চুরা নব্বই হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেতনের টাকা ফিরিয়েছেন। বাকি টাকা নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দেবেন অঙ্কিতা। - আদালতে জানালেন তার আইনজীবী।