মহাচমকের তিনদিন পরেই রণেভঙ্গ বিজেপির! গণতন্ত্রের সৌন্দর্যে রাজ্যপালকে খোঁচা অধ্যক্ষের
মহা চমক দিয়ে রাতারাতি মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই সরকার মাত্র স্থায়ী হয়েছে তিন দিন। আস্থা ভোটের আগেই রণেভঙ্গ দিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে।
মহা চমক দিয়ে রাতারাতি মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই সরকার মাত্র স্থায়ী হয়েছে তিন দিন। আস্থা ভোটের আগেই রণেভঙ্গ দিয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বলে ব্যাখ্যা করলেন পশ্চিমবঙ্গের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহারাষ্ট্রের ঘটনা তুলে ধরে খোঁচা দিলেন বাংলার রাজ্যপালকেও।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গভর্নর কখনও সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে পারে না। সংবিধান দিবসের মঞ্চ থেকে নাম না করেই সমালোচিত হলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের ভূমিকার সঙ্গে বাংলার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে রাজ্যপালের ভূমিকা সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিল না। রাষ্ট্রপতি শাসন রাতারাতি তুলে দিয়ে চুপিসারে সরকার গঠন হল মহারাষ্ট্রে। এই সরকার মিথ্যার সরকার ছিল। কিন্তু সত্য চাপা দিয়ে রাখা গেল না। আস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার আগেই তিনদিনে পতন হল বিজেপি সরকারের।
একা অধ্যক্ষই নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সমালোচনা করলেন মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে। তিনি বলেন, মধ্যরাতে স্বাধনীতার কথা শুনেছি, মধ্যরাতে সরকার গঠনের কথা এই শুনলাম। কেন চুপি চুপি সরকার গঠন হল। সরকারের সঙ্গে যদি সংখ্যা না থাকে তাকে তো পদত্যাগ করতেই হবে। কিন্তু প্রশ্ন এখানেই যে, সংখ্যা না থাকা সত্ত্বেও কী করে সরকার গঠন হল।