ধর্মীয় স্লোগানের বিষবাষ্প প্রবেশ করল রাজ্য বিধানসভাতেও, কড়া হাতে দমন অধ্যক্ষের
ধর্মীয় স্লোগান এবার ঢুকে পড়ল রাজ্য বিধানসভাতেও। লোকসভার পর বিধানসভার শপথেও স্লোগান উঠল জয় শ্রীরাম। পাল্টা জয় হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগানেও মুখর হল বিধানসভা।
ধর্মীয় স্লোগান এবার ঢুকে পড়ল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভাতেও। লোকসভার পর বিধানসভার শপথেও স্লোগান উঠল জয় শ্রীরাম। পাল্টা জয় হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগানেও মুখর হল বিধানসভা। লোকসভায় সোমবার থেকে শপথ গ্রহণ চলছে। আর শপথ গ্রহণে বারবার ধর্মীয় স্লোগান উঠেছে। সেই রোগ থেকে ছাড় পেল না বিধানসভাও।
তবে এদিন বিধানসভার শপথ গ্রহণে এই ধর্মীয় স্লোগানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানালেন, কোনও বাড়তি শব্দ সংযোজন বা ব্যবহার করা যাবে না শপথ বাক্যের সঙ্গে। তা যদি হয়, তিনি তা রেকর্ড থেকে বাদ দেবেন। শুধু সেটাই করলেন না, ভর্ৎসনাও করলেন অধ্যক্ষ।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এদিন উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়করা শপথ নেন। তখনই মালদহের হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু শপথবাক্য পাঠের শেষে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান তোলেন। তার পাল্টা উলুবেড়িয়া পূর্বের নব নির্বাচিত বিধায়ক ইদ্রিশ আলি শপথবাক্য শেষ করেই বলে ওঠেন জয় হিন্দ, জয় বাংলা।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর ইদ্রিশ আলিকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, শপথ গ্রহণ একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু বাক্যে বাইরে আর কিছু বলা যায় না। তাই রাজনৈতিক বা ধর্মীয় স্লোগান বা কোনও বাড়তি শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়।
এর আগে লোকসভাতেও 'জয় শ্রীরাম', 'জয় হিন্দ' - এর সঙ্গে ঢুকে পড়ে 'জয় দুর্গা', 'জয় বাংলা', 'জয় মা কালী' ইত্যাদি ইত্যাদি নানা ধর্মীয় স্লোগান। তবে লোকসভায় পরিস্থিতি বেলাগাম হয়ে গেলেও বিধানসভায় তা হয়নি। এ ব্যাপারে রাজ্য বিধাসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি কোনও পক্ষকেই প্রশ্রয় দেননি। বিধানসভা সভার মর্যাদা রক্ষার জন্য যা করা জরুরি, তা-ই করেছেন। সাসক দলের বিধায়ককেও ভর্ৎসনা করেছেন।